প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৩, ০০:০০
![একমাসে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে তিন গুণ](/assets/news_photos/2023/05/26/image-33476.jpg)
মাত্র একমাসের মাথায় পেঁয়াজ নামক সবজির দাম মাথায় উঠেছে। পবিত্র রমজান মাসে যে পেঁয়াজ চাহিদার কারণে দামের দিক থেকে তুলনামূলকভাবে থাকে এগিয়ে, সেই পেঁয়াজই এবার রমজান মাসে দামের দিক থেকে ক্রেতাদের স্বস্তি দিতে পারলেও রমজান শেষ হওয়ার এক মাসের মাথায় তার দাম শুনে অস্বস্তিতে রয়েছে ক্রেতাসাধারণ। রমজানের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম ২৫-২৭ টাকা স্থিতিশীল থাকলেও রমজানের পর ১৫ দিন পার হতে না হতেই এই পেঁয়াজ নামক সবজিটি এখন খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ৮৫ টাকা পর্যন্ত। যে যেভাবে পারছে দাম হাঁকিয়ে নিচ্ছে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে, একমাসের ব্যবধানে সবজিটির দাম বেড়েছে প্রায় ৩ গুণ। পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম দেখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ আমদানির কথা বললে মাঝখান দিয়ে ৬৫ টাকার পেঁয়াজ ৫৫ টাকা বিক্রি হয়। কিন্তু তা এখন আরো কিছু বেড়ে গিয়ে পাইকারি বাজারে দাম বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৭ টাকায়।
গত দুদিন আগে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষকের কথা চিন্তা করে এখনই পেঁয়াজ আমদানি নয়, তবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে আমদানির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সরকার কখন পেঁয়াজ আমদানি করবে তা নিয়েও ব্যবসায়ীরাও রয়েছেন দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে। তাদের আশংকা, যদি সত্যি সত্যি হঠাৎ করে পেঁয়াজ আমদানি হয়, তাহলে পেঁয়াজের বাজারে ধস নামবে আর ব্যবসায়ীদের লোকসান গুণতে হবে।
ক্রেতাসাধারণের ক্ষোভ : দেশে এ বছর প্রচুর পেঁয়াজ উৎপন্ন হয়েছে। তা সত্ত্বেও দেশী পেঁয়াজের এত উচ্চ মূল্যের কারণ হিসেব করতে গিয়ে তাদের অবস্থা অনেকটাই কাহিল হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে পেঁয়াজ আমদানি ছাড়া পেঁয়াজের দাম কমছে না বলেই বিশ্বাস করছেন পেঁয়াজ বিক্রেতাগণ।
গতকাল পেঁয়াজের পাইকারি বাজার বলে খ্যাত পুরাণবাজারের কয়েকটি পেঁয়াজের পাইকারী আড়তে গিয়ে দেখা গেল পেঁয়াজ ৬৫-৬৭ টাকা, আদা (বার্মা) ২৩০ টাকা, আলু (মুন্সিগঞ্জ) ২৯-৩০ টাকা, (রাজশাহী) ৩০-৩১ টাকা করে কেজি বিক্রি হচ্ছে। এদের সাথে পাল্লা দিয়ে জিরার দামও বেড়েছে কেজিতে ২শ’ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু পাইকারি বাজারে যতটা না বেড়েছে আলু-পেঁয়াজ, আদা, জিরার দাম তার চেয়ে অনেক বেশি দামেই এ সকল পণ্য বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। ক্রেতাসাধারণ মনে করেন নিয়মিত বাজার মনিটরিং থাকলে হয়তো খুচরা দোকানিদের ইচ্ছেমাফিক দাম কম-বেশি করার সুযোগ পেত না, তাদেরকে নিয়মের মধ্যে থেকেই কেনা-বেচা করতে হতো না। তবে এ সকল পণ্যের দাম বাড়লেও কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে ডাল, চাল ও তেল। রমজান মাসে এ সকল পণ্যের যে দাম ছিল তার থেকে কিছুটা দাম কমতে চলছে এ সকল পণ্যের। ক্রেতাসাধারণ মনে করেন নিয়মিত বাজার মনিটরিংই পারে অসহায় ক্রেতাসাধারণের সহায়ক হতে।