প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৩, ০০:০০
![দেশে বিরাজমান সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে](/assets/news_photos/2023/05/26/image-33472.jpg)
দেশে বিরাজমান সম্প্রীতি রক্ষায় সকলকে সচেতন থাকতে হবে। এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যাতে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি হতে পারে। আমাদের দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, উন্নয়নের দেশ, ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের দেশ। এই মর্যাদা ধরে রাখতে হবে। ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসনের সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভার্চুয়ালি এসব কথা বলেন।
বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মোতওয়াল্লি, মাদ্রাসার শিক্ষকসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, জেলা-উপজেলা পর্যায়ের পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ ও সুধীজনের উপস্থিতিতে গতকাল ২৫ মে বৃহস্পতিবার সকালে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়ানাধীন ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় চাঁদপুর জেলায় ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি বলেন, সকল ধর্মের মানুষ যেনো স্বাধীনভাবে স্ব স্ব ধর্ম পালন করতে পারেন সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাব কাজ করে যাচ্ছেন। অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের অনেক সুনাম রয়েছে। আমাদেরকে এই সুনাম রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, সকল নাগরিক তাদের রাষ্ট্রীয় অধিকার ভোগ করবেন। হাজার বছর ধরে এদেশের মানুষ একসাথে বসবাস করে আসছেন। দীর্ঘদিন একসাথে বাস করতে গিয়ে নিজেদের মাঝে যে সম্প্রীতি গড়ে উঠেছে তা যেনো গুটিকয়েক মানুষের কারণে নষ্ট না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নিজের মত যখন অন্যের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়, তখনই সমস্যার সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে ধর্মকে ব্যবহার করে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে না পারে এবং দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত না করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্যও তিনি সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপ্রধানে পুলিশ সুপারের পক্ষে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) পলাশ কান্তি নাথ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ.এস.এম. মোসা, পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডঃ রণজিত রায় চৌধুরী, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ, জেলা ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা স্কাউটের সাধারণ সম্পাদক অজয় কুমার ভৌমিক, চাঁদপুর ব্যাপ্টিস্ট মিশনের প্রতিনিধি রসি বর্মণ প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন, চাঁদপুরের উপ-পরিচালক মোঃ রুহুল আমিন। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওঃ আবু বকর বিন ফারুক, পবিত্র গীতা পাঠ করেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ চাঁদপুর সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক বিমল চৌধুরী, পবিত্র ত্রিপিটক পাঠ করেন বকুল বড়ুয়া ও পবিত্র বাইবেল পাঠ করেন রিতা মাইকেল দাস।
অনুষ্ঠানে সুধীজনদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক রোটাঃ কাজী শাহাদাত, গিয়াসউদ্দিন মিলন, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাডঃ বিনয় ভূষণ মজুমদার, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর রণজিত কুমার বণিক, চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রাধা গোবিন্দ গোপ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট জেলা শাখার সভাপতি তপন সরকার, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক পরেশ চন্দ্র মালাকার, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা, পূজা উদযাপন পরিষদ চাঁদপুর সদর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর, পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুমন সরকার জয় প্রমুখ।