শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ১৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৩, ০০:০০

মতলবে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে বসতঘর ভস্মীভূত ॥ দগ্ধ ৫
রেদওয়ান আহমেদ জাকির/ আরিফ বিল্লাহ ॥

মতলব দক্ষিণ উপজেলার খর্গপুর গ্রামে সিলিন্ডার গ্যাসের চুলা বিস্ফোরণে পাঁচজন আহতসহ ওই বসতঘরটি ও মালামাল আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টায় ওই গ্রামের কামরুল ইসলামের ঘরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে রাতেই তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ২৩ মে মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টায় কৃষক কামরুল হোসেনের স্ত্রী রহিমা বেগম (৩৫) বসতঘরটির একপাশে অবস্থিত রান্নাঘরে সিলিন্ডারের গ্যাসের সাহায্যে চুলায় খাবার গরম করছিলেন। রান্নাঘরের তাপে আচমকা বিকট শব্দে গ্যাস সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হলে সেখানে আগুন ধরে যায়। ওই আগুন ছড়িয়ে পড়লে অল্প সময়েই মালামালসহ গোটা বসতঘরটি পুড়ে যায়।

এ সময় রান্নাঘরে থাকা রহিমা বেগম এবং বসতঘরে অবস্থান নেয়া তার স্বামী কামরুল হোসেন, মেয়ে ফাহিমা আক্তার (২০) ও ফারিহা আক্তার (১২) দগ্ধ হন। পাশের ঘর থেকে আগুন নেভাতে এসে দগ্ধ হন কামরুল হোসেনের ভাতিজা মোঃ সজিব (১৯)। দগ্ধ ব্যক্তিদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন সেখানে জড়ো হন। বিষয়টি স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস অফিসে ফোন করে জানানো হয়।

উপজেলা ফায়ার সার্ভিস বিভাগের স্টেশন প্রধান মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনস্থলে যাই এবং এলাকাবাসীর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। বিস্ফোরণে দগ্ধ ওই পাঁচজনকে তাদের স্বজন ও প্রতিবেশীরা প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তারা তাদের চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখান থেকে গতকাল রাতেই তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

কৃষক কামরুল হোসেনের জেঠাতো ভাই মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, দগ্ধ পাঁচজনের মধ্যে রহিমা বেগমের অবস্থা শঙ্কাজনক। তার শরীরের ৫৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। বাকিদের শরীরেরও ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। একমাত্র বসতঘরটি পুড়ে যাওয়ায় ওই পরিবারটি এখন সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছে।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিএইচএম কবির আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেনু দাস, নায়েরগাঁও দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মৃধা মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়