প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০
![হাজীগঞ্জে বানর কাণ্ড!](/assets/news_photos/2023/04/12/image-31807.jpg)
হাজীগঞ্জের বাকিলার সন্না গ্রামে দলছুট বড় একটি বানরের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে গ্রামের শত শত বাসিন্দা। ছোট বাচ্চাদের দেখা মাত্র বানর তেড়ে আসে আবার দৌড়ে গাছে উঠে পড়ে। এ কারণে রীতিমতো আতঙ্কে আছেন অভিভাবকরা। শুধু তাই নয়, বানরটি গাছের ফলও সাবাড় করে চলছে।
গত কয়েকমাস ধরেই বানরটি এলাকায় অবস্থান নেয়। ঠিক কোথায় থেকে বানরটি গ্রামে এসে বসতি গড়ছে তা গ্রামবাসী বলতে পারছে না।
দক্ষিণ সন্না গ্রাম ঘুরে জানা যায়, মধ্যবয়স্ক পুরুষ বানরটি একা বিচরণ করছে। দিনে-রাতে তার বিচরণ সমানতালে চলছে। এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি সে গাছে গাছে বা পায়ে হেঁটে চলছে। রাতের বেলা বিভিন্ন বাড়ির টিনের চালের বানরের হাঁটাহাঁটি বা লাফালাফিতে ঘরের বাসিন্দারা ঘুমাতে পারে না। বিশেষ করে গ্রামের সকল ফলের গাছে তার তীক্ষè দৃষ্টি বিদ্যমান। যে কোনো ফল আধা পাকা হওয়ার আগেই বানরটি খেয়ে ফেলে। ছোট বাচ্চারা বা লোকজন তাকে দেখার জন্য জড়ো হলে সে ভেংচি কাটে আবার কখন ভয় দেখায়। তবে এখনো সে শারীরিকভাবে কোনো মানুষে ক্ষতি করেনি।
সন্না গ্রামের বাসিন্দা হোসেন মোল্লা লিটন জানান, বাড়িতে গাছের কোনো ফল বানরের কারণে খেতে পারি না। সে এ-বাড়ি থেকে ওই বাড়ি সারাক্ষণ রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে। একই গ্রামের বাসিন্দা সমীর বর্ধন জানান, রাতে বিকট শব্দ করে বানরটি ঘরের চালে হাঁটাহাঁটি করে। অনেক সময় আমরা ভয়ে রাতে ঘর থেকে বের হই না।
উপজেলা বন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম জানান, স্থানীয়রা বানরটিকে নিজ উদ্যোগে ধরে দিলে আমরা কুমিল্লার লাইমাই বন বিভাগের উদ্যানে ছেড়ে দিতে পারি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বানরটি ধরতে গেলে ঢাকা থেকে লোক আনতে হবে। আর সেটি কিছুটা ব্যয়বহুল।