শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কচুয়ায় খালু কর্তৃক দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের শিকার
  •   সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান করায় ইমামকে চাকরি ছাড়ার নির্দেশ!
  •   এনআইডিতে ভোটার এলাকা হিসেবে থাকছে না বর্তমান ঠিকানা
  •   জাহাজে ৭ খুনের রহস্য উদ্‌ঘাটনসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি
  •   নিখোঁজের একদিন পর বৃদ্ধের মরদেহ মিললো পুকুরে

প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

শহরের নতুনবাজার জমজম পানি ফ্যাক্টরিতে সন্ত্রাসী হামলা
স্টাফ রিপোর্টার ॥

চাঁদপুর শহরের জমজম ড্রিংকিং ওয়াটার ফ্যাক্টরিতে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। হামলাকারীরা ফ্যাক্টরির দরজাণ্ডজানালা, ফিল্টার মেশিন, স্ক্যানার মেশিন, ওয়াটার মেশিন, কম্পিউটার, দু’টি ফটোকপি মেশিন, সিসি ক্যামেরা, ক্যাশবাক্সসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও মূল্যবান মেশিন ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। ভাংচুর করা হয় ফ্যাক্টরির সাইনবোর্ডসহ দরজাণ্ডজানালার সকল গ্লাস।

৩০ জুলাই শুক্রবার রাতে শহরের নতুনবাজারের মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম সড়কে (সাবেক বাগাদী রোড) অবস্থিত বাবলু ব্রাদার্সের সফিউদ্দিন উদ্দিন বাবলুর মালিকানাধীন জমজম ওয়াটার ফ্যাক্টরিতে এই ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, সন্ত্রাসীরা একই রাতে প্রতিষ্ঠানটির মালিকের বোনের নির্মাণাধীন বাড়ির দেয়াল ভেঙে ফেলে এবং একটি পানির পাম্প মেশিন নিয়ে যায়। এছাড়া তার ভগ্নিপতি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জন নূর মোহাম্মদকেও মারধর করেছে।

খবর পেয়ে ঘটনার রাতেই চাঁদপুর নতুনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির উপণ্ডপরিদর্শক ইসমাইল হোসেন ও শাহরিন অন্য পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

৩১ জুলাই শনিবার সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে জমজম ড্রিংকিং ওয়াটার ফ্যাক্টরির দায়িত্বরত কর্মচারী স্বপন ভূঁইয়া জানান, শুক্রবার বন্ধের দিন হওয়ায় আমাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো। রাতে আমরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের খবর পাই। এসে দেখি আমাদের ফ্যাক্টরির দরজা ভেঙে সন্ত্রাসীরা ভেতরে ঢুকে বোতল, ফিল্টার মেসিন, এসিআর মেশিন, ওয়াটার মেশিন, মেশিন স্ক্যনার, কম্পিউটার, দু’টি ফটোকপি মেশিন, সিসি ক্যামেরা, ক্যাশ, এসি ভাংচুর করেছে। আমাদের ক্যাশবাক্স ভেঙে নগদ প্রায় ৬০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।

প্রতিষ্ঠানের মালিক সফিউদ্দিন বাবলু জানান, স্থানীয় মৃত দুলাল ভূঁইয়ার ছেলে আরাফাত রহমান রিংকু আমার কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় তারা আমার প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। আমি অনেক কষ্ট করে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়েছি। এখানে স্থানীয় ২০/২৫ জন যুবক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। আমার সব কিছু সন্ত্রাসীরা শেষ করে দিয়েছে।

তিনি আরো জানান, আমি চাঁদপুরের মান্যবর পুলিশ সুপারকে ঘটনার বিষয়টি অবগত করেছি। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আমার ভগ্নিপতি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন নূর মোহাম্মদকে মারধরের ঘটনায় তিনিও পৃৃথকভাবে একটি মামলা করবেন। আমি প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করছি।

এদিকে স্থানীয় একটি সূত্রে জানা যায়, সম্পত্তিগত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষরা এই প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় এবং ব্যাপক ভাঙচুর করে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়