শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কচুয়ায় খালু কর্তৃক দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের শিকার
  •   সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান করায় ইমামকে চাকরি ছাড়ার নির্দেশ!
  •   এনআইডিতে ভোটার এলাকা হিসেবে থাকছে না বর্তমান ঠিকানা
  •   জাহাজে ৭ খুনের রহস্য উদ্‌ঘাটনসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি
  •   নিখোঁজের একদিন পর বৃদ্ধের মরদেহ মিললো পুকুরে

প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২১, ০০:০০

দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাবে
অনলাইন ডেস্ক

প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধা আবদুল আজিজ ওমানের সালালায় ৩২ বছর যাবৎ পোশাক বানানোর ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তার বাড়ি কচুয়া উপজেলার রহিমানগর উত্তর বাজারে। সম্প্রতি তিনি চাঁদপুর কণ্ঠের মুখোমুখি হন। তার সাক্ষাৎকার নেন চাঁদপুর কণ্ঠের মধ্যপ্রাচ্য প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়।

চাঁদপুর কণ্ঠ : প্রবাসে কতোদিন আছেন, কী করছেন, কেমন কাটছে সময়?

আবদুল আজিজ : ৩২ বছর যাবৎ ওমানের সালালায় আছি। এখানে নিজস্ব টেইলরিং শপ পরিচালনা করছি। আলহামদুলিল্লাহ, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ রহমতে ব্যবসায় বেশ ভালো করেছি। করোনার কারণে দেশে এসে এখন আটকে আছি। আগস্ট মাসে বাংলাদেশ থেকে ওমানের পথে যাত্রা করবো ইনশাআল্লাহ।

চাঁদপুর কণ্ঠ : বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আপনার অনুভূতি কেমন?

আবদুল আজিজ : ১৯৭১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে ঠাঁই করে নিয়েছে। এটি বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে গর্বের সাথে বলতে পারি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার দৃষ্টিতে স্বদেশের উন্নতি-অগ্রগতি কতোটুকু হয়েছে?

আবদুল আজিজ : দেশের উন্নতি-অগ্রগতি হয়েছে বলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলতে পারছেন, বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। ভূমিহীন ও গৃহহীন ৫৩ হাজার ৩৪০টি পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করা হয়েছে। তবে অনিয়ম আর প্রকল্পের দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাবে। যাকে যেই কাজ দেয়া হয় তা বাস্তবায়ন করতে হবে দেশের প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা রেখে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে মে ২০২১ পর্যন্ত ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫শ’ ৬২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : দেশকে নিয়ে আপনার কোনো কষ্ট-বেদনা-অতৃপ্তি আছে কি?

আবদুল আজিজ : দেশকে নিয়ে কষ্ট নয়, কষ্ট হয় দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য আমরা ভুলে যাই বলে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তবে দেশ স্বাধীন করতে ১১টি সেক্টরের দায়িত্বশীল ১১ জন সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলো, তাঁদের নাম আমরা কেউ সেভাবে তুলে ধরি না। স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে কে কোন্ দলে বিভক্ত হলো তা বড় কথা নয়, বড় কথা হলো ১১ জন সেক্টর কমান্ডার দেশের জন্যে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছে সেটা মনে রাখতে হবে। যার যতোটা প্রাপ্য তাকে তা দিতে সমস্যা কোথায়? একে-অন্যকে মূল্যায়ন করতে না পারলে শ্রদ্ধাবোধ কমে যাবে। দেশের উন্নতি-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হবে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : সকলের উদ্দেশ্যে আপনার পছন্দের কিছু কথা বলুন।

আবদুল আজিজ : আসুন, দেশকে ভালোবাসি, দেশের সর্বস্তরের জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে সম্মিলিতভাবে কাজ করি। সকলের জন্যে নিরন্তর শুভ কামনা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়