প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২২, ০০:০০
ধানুয়ায় এক রাতে ছয়টি দুর্ধর্ষ চুরি
ফরিদগঞ্জের ধানুয়া গ্রামে গভীর রাতে পূর্ব ধানুয়া ওসমান স্টোর, ওসমান স্টোরের গোডাউন, মুক্তার স্টোর, মধ্য ধানুয়ার বিল্লাল শেখ স্টোর, বিল্লাল শেখ স্টোরের গোডাউন, শম্ভুর সেলুনসহ মোট ৬টি দোকানের ১২টি তালা ভেঙ্গে মালামাল ও নগদ টাকা চুরি হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে অর্থাৎ ২৬ জুন রোববার রাতের কোনো এক সময়ে এ দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে।
|আরো খবর
খবর শুনে ওই এলাকায় গেলে ওসমান স্টোরের মালিক পক্ষের মুখলেস বলেন, আমরা তিন ভাই দোকান পরিচালনা করি, প্রতিদিনের ন্যায় রোববার রাত ১০টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যাই। ভোর ৪টার দিকে আমার বড় ভাই আমিন ধানুয়ার চর থেকে মাছ ধরে বাজারে নিয়ে যাওয়ার সময় দেখেন, আমাদের দোকানের গোডাউনের শার্টার খোলা। এ সময় তার ডাক-চিৎকার শুনে এসে দেখি, দোকানের শার্টারের তালা ভাঙ্গা এবং শার্টার উঠানো। দোকানের ভেতরে গিয়ে দেখি, দোকানে গচ্ছিত রাখা নগদ প্রায় ৩০ হাজার টাকা এবং বেনসন-গোল্ডলিফসহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৪০ হাজার টাকার সিগারেট এবং বিভিন্ন কসমেটিক ও সয়াবিন তেলসহ অন্যান্য মালামাল (মূল্য প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা) নিয়ে যায়। এ সময় দোকানের সামনে রড ভেন্ডর মিস্ত্রীদের বড় আকারের একটি শাবল পাওয়া যায়। মুক্তার স্টোরের মালিক মুক্তার হোসেন বলেন, তার দোকানের তালা ভেঙ্গে অন্যান্য মালামাল না নিলেও নগদ ২৫ হাজার টাকা চোরের দল নিয়ে যায়।
অন্যদিকে মধ্য ধানুয়ার বিল্লাল শেখ স্টোরের প্রোপ্রাইটর ইসমাইল শেখ বলেন, প্রতিদিনের মতো তিনি রাত ১০টায় দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান। পাশের হোটেলের মালিক বাবুল রাত ৪টা ৪০ মিনিটে তাকে ফোন দিয়ে জানান, তার দোকানের শার্টার খোলা। এ সময় ইসমাইল হতভম্ব হয়ে তাড়াতাড়ি দোকানের কাছে এসে দেখেন, তার দোকানের পাশে গোডাউনের শার্টার খোলা এবং দোকানের ভেতরে ঢুকে দেখেন তার নগদ টাকাসহ অনেক কিছুই চুরি হয়ে গেছে। তিনি বলেন, নগদ টাকা, বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট, মোবাইল কার্ডসহ প্রায় এক লক্ষ টাকার মালামাল চুরি হয়ে গেছে। অন্যদিকে পাশের শম্ভুর সেলুনের দুটি তালা ভেঙ্গে নগদ ৪শ’ টাকা, দুটি চুল কাটার মেশিন এবং বিদ্যুৎ বিল চোরের দল নিয়ে যায়।
এ সময় উৎসুক জনতা এই প্রতিনিধিকে বলেন, মোঃ নূরুল ইসলামের আমীর টেলিকমসহ বিভিন্ন দোকান ও এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে চোরের দল ইতিপূর্বে কয়েকবার হানা দিয়েছে। চোরের উৎপাতের কারণে এখন নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে অনেকের। ধানুয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মোঃ হুমায়ুন কবির, এলাকার বয়োবৃদ্ধ হাজী মোহাম্মদ ইউসুফ খানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অত্যন্ত আক্ষেপের সাথে বলেন, কিশোর গ্যাং, জুয়াড়ি এবং গাঁজাখোরের অভায়ারণ্য এখন এই ধানুয়া গ্রাম। এরা রাতভর জুয়া খেলে এবং গাঁজা খায়, পরে বিভিন্ন জায়গায় চুরি করে মানুষের ক্ষতিসাধন করছে। ফরিদগঞ্জ থানার পক্ষ থেকে টহল পুলিশের তদারকি থাকলে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব বলে তারা জানান।