সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২২, ০০:০০

বৈধ অটোরিকশা মাত্র ৬ হাজার ৭শ’ ১টি ॥ ৫শ’ কোটি টাকা বঞ্চিত সরকার

জেলায় দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে রেজিস্ট্রেশনবিহীন ৩০ হাজার সিএনজি অটোরিকশা

জেলায় দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে রেজিস্ট্রেশনবিহীন ৩০ হাজার সিএনজি অটোরিকশা
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

পুরো চাঁদপুর জেলা দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ বা রেজিস্ট্রেশনবিহীন প্রায় ৩০ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা। জেলায় বৈধ বা রেজিস্ট্রেশনকৃত সিএনজি অটোরিকশা চলছে মাত্র ৬ হাজার ৭শ’ ১টি। তবে এ সকল হিসেবের বাইরে চোরাই বা কাটা নাম্বারের সিএনজি অটোরিকশা চলছে গ্রামের সড়কগুলোতে, যার কোনো হিসেবে নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। অনিবন্ধিত এ সকল সিএনজি অটোরিকশা নিবন্ধন করা হলে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা পড়বে প্রায় ৫শ’ কোটি টাকা। তবে জেলায় আরটিএ কমিটি অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত সিএনজি অটোরিকশা নিবন্ধন হচ্ছে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) চাঁদপুর জেলা কার্যালয়।

বিআরটিএ চাঁদপুর জেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলায় রেজিস্ট্রেশনবিহীন বা অনিবন্ধিত সিএনজি অটোরিকশা রয়েছে ৩০ হাজার। আর রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধিত সিএনজি অটোরিকশা রয়েছে মাত্র ৬ হাজার ৭শ’ ১টি। ৩০ হাজার অনিবন্ধিত সিএনজি অটোরিকশার মধ্যে প্রায় ১৫ হাজার চলাচল করছে শুধুমাত্র শাহরাস্তি আর কচুয়া উপজেলায়। নিবন্ধিত কিংবা অনিবন্ধিত এ সকল সিএনজি অটোরিকশা সারা জেলা দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা আমদানি শুল্কের জন্যে সরকারকে দিতে হয় ১ লাখ ৫২ হাজার ৫শ’ টাকা, বিক্রি রেজিস্ট্রেশনে দিতে হয় ১৩ হাজার টাকা আর রুট পারমিট বাবদ দিতে হয় ১ হাজার ১শ’ ৪ টাকা। সব মিলিয়ে সরকার প্রতি সিএনজি অটোরিকশা থেকে পায় ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬শ’ ৪ টাকা। সেই হিসেবে ৩০ হাজার গাড়ি বাবদ সরকার পেতে পারে প্রায় ৪শ’ ৯৯ কোটি ৪১ লাখ ২০ হাজার টাকা। যার পুরোটা থেকে সরকার বর্তমানে বঞ্চিত রয়েছে।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি জেলা কার্যালয় সূত্রে আরো জানা যায়, আরটিএ (রিজওয়ানাল ট্রান্সপোর্ট অথরিটি) কমিটি সংশ্লিষ্ট জেলার গাড়ির রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন করার দায়িত্ব বহন করে। চাঁদপুর জেলার উক্ত কমিটির মেয়াদ আরো আগে শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা কার্যালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। উক্ত কমিটি অনুমোদন হয়ে আসলে সিএনজি অটোরিকশাগুলোর রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধনের কাজ শুরু হবে।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি চাঁদপুর জেলা অফিসের নিকট চোরা কিংবা কাটা নাম্বারের অটোরিকশার বিষয় জানা নেই। তবে জেলার সকল এলাকার পাশ্বর্¦ সড়কগুলোতে দেদারচে চোরাই সিএনজি কিংবা কাটা নাম্বারের সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করছে। বিষয়গুলো নিয়ে স্ব স্ব এলাকার সিএনজি অটোরিকশা স্টেশনে কর্মরত লোকরা অবগত রয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। কাটা নাম্বার অনেকের কাছে নতুন শব্দ হলেও যারা সিএনজি অটোরিকশা ক্রয়-বিক্রির দালাল বা জড়িত তাদের কাছে বিষয়টি বেশ পুরানো। ব্যবহারে অনুপযোগী পুরাতন গাড়ি কিংবা দুর্ঘটনাকবলিত হয়ে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে যাওয়া গাড়িগুলোর মধ্যে যেগুলোর নিবন্ধন রয়েছে সেই সকল গাড়ির নম্বর-প্লেট, গাড়ির ইঞ্জিন আর চেচিস নম্বর লেদ মেশিনের মধ্যমে নতুন কোন গাড়িতে জুড়ে দেয়াকে কাটা নাম্বার বলে। আর এ কাটা নাম্বারের গাড়ির পরিমাণ নেহাত কম নয়।

জেলায় অনিবন্ধিত প্রায় ৩০ হাজার সিএনজি অটোরিকশা চলাচলের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি চাঁদপুর জেলার ইন্সপেক্টর মোঃ আফজাল হোসেন জানান, নিবন্ধনের বিষয়টি আরটিএ কমিটি করে। আমাদের এখানে সেই আরটিএ কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে আরো আগে। আমরা আরটিএর নতুন কমিটি গঠন করে ঢাকায় পাঠিয়েছি। কমিটি অনুমোদন হয়ে আসলে সিএনজি অটোরিকশার নিবন্ধন দেয়া সম্ভব হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়