সুফিয়া বেগম নামে এক গৃহবধূর লাশ মিললো স্বামীর বাড়ির পুকুরে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে হাজীগঞ্জ পৌরসভায় ৯নং ওয়ার্ড এনায়েতপুর জয়নাল ভূঁইয়া বাড়িতে। সুফিয়া ওই বাড়ির বাপ্পীর স্ত্রী। সুফিয়ার বাবার পরিবারের দাবি, সুফিয়াকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয় ও ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে সুফিয়ার শ্বশুরের পরিবারের সদস্যরা জানায়, সুফিয়া বেগম মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি পানিতে ডুবে মারা যান।

এদিকে সুফিয়া বেগমের বাবার পরিবারের দাবি, নির্যাতন করে হত্যার পর বাড়ির পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়া হয় সুফিয়ার লাশ।

গৃহবধূর মামা মফিজুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে সুফিয়া বেগম। প্রায় সময় স্বামী বাপ্পী সুফিয়াকে নির্যাতন করতো।

জানা যায়, ৭ বছর আগে বাপ্পির সাথে সুফিয়া বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৫ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় একাধিকবার বিচার-সালিস হয়েছে এবং হাজীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছিলো।

স্থানীয় কাউন্সিলর আজাদ মজুমদারের কার্যালয়ে একাধিকবার গৃহবধূ সুফিয়া বেগমের নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিচার সালিস হয়েছে।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জুবায়ের সৈয়দ বলেন, এনায়েতপুর গ্রামে সুফিয়া বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠিয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বলা যাবে কীভাবে পানিতে পড়ে মারা গেছে।