রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২২, ০০:০০

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম সহসাই শুরু হচ্ছে
চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম সহসা শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসিম আখতার। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে প্রস্তাবিত জমির মূল্য সংক্রান্ত মামলা আদালতে নিষ্পত্তির পর এখন আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করতে কোনো আইনি বাধা রইল না। কার্যক্রম শুরু হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে প্রস্তাবিত স্থান সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নেই। সেখানে অস্থায়ীভাবে প্রস্তুতকৃত বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস খুলে কার্যক্রম শুরু করা হবে। মামলার রায় হয়ে যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করতে এখন আর কোনো সংশয় রইল না। সে মতে কার্যক্রম শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিলটি পাস হয় সেপ্টেম্বর ২০২০ সালে। এরপর এটি কোথায় করা হবে তা নিয়ে চলে নানা বিচার-বিশ্লেষণ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, ছাত্রাবাস, ভিসির বাসভবন, প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক কাউন্সিল ভবনসহ আরো নানা স্থাপনার জন্য প্রয়োজন প্রচুর জমির। সবমিলিয়ে প্রায় একশ’ একর জমির প্রয়োজন। আবার এ ধরনের বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় জেলা সদরেই হতে হয়। এতো বিপুল পরিমাণ জায়গা এক সাথে পাওয়াটাও কঠিন। অবশেষে সন্ধান মিলে সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে। এ ইউনিয়নের ১১৫নং লক্ষ্মীপুর মৌজায় প্রাথমিকভাবে প্রায় ৮০ একর জমি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাবিত জায়গা হিসেবে প্রস্তুত করা হয়। লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম খানের প্রচেষ্টায় প্রস্তাবিত জমি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনা নির্মাণের জন্য প্রস্তুত করা হয়। এদিকে জমির দাম নির্ধারণ নিয়ে জমির মালিক পক্ষ এবং জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখার মধ্যে দ্বিমত দেখা দেয়। দুই ধরনের দাম এবং মতদ্বৈততা শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত গড়ায়। জমির দাম নিয়ে করা রিট গত ৯ জুন খারিজ হয়ে যায়। আদালত জেলা প্রশাসনের প্রাক্কলন ১৯৪ কোটি টাকাই বহাল রাখে।

এদিকে আদালতে মামলা থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কার্যক্রম শুরু করতে পারে নি। মামলার রায় হয়ে যাওয়ায় এখন আর কোনো বাধা রইল না। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসিম আখতারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে আজকেও আমার কথা হয়েছে। আমাকে ডিপিপি দিতে বলা হয়েছে। আদালত কর্তৃক যেহেতু রায় হয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, তাই ডিপিপি দিতে এখন আর কোনো সমস্যা নাই। জেলা প্রশাসন থেকে যে প্রাক্কলন দেয়া হয়েছে তথা প্রায় ১৯৪ কোটি টাকা, এটা ধরেই আমি ডিপিপি দিবো। এরপর অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ ছাড় দেয়া হলে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হবে। আর বিশ্ববিদ্যালয় লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নেই হচ্ছে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে কোনো মামলা ছিল না এবং আদালতের এ বিষয়ে কোনো মতামতও ছিল না। তাই বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান প্রস্তাবিত জায়গাই হচ্ছে এমনটাই বলা যাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়