প্রকাশ : ১১ জুন ২০২২, ০০:০০
চাঁদপুর জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ইঞ্জিঃ শওকত আখন্দ আলমগীর বলেছেন, ২৪ মার্চ ১৯৮২ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রীয় পদে অধিষ্ঠিত হবার পর একজন এরশাদ সৈনিক হয়ে ১৯৮৩ সালের ১৭ মার্চ কুমিল্লা টাউন হল ময়দানে সমবায়ীদের এক বিশাল সমাবেশে ১৮ দফা বাস্তবায়ন পরিষদ ঘোষণার মধ্য দিয়ে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে আমি অংশগ্রহণ করি। একই সালের ২৭ নভেম্বর জনদল গঠন। ১৯৮৫ সালের ১৬ আগস্ট জাতীয় ফ্রন্ট এবং ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টি গঠন থেকে অদ্যাবধি একজন একনিষ্ঠ এরশাদ সৈনিক, নিবেদিত ও দায়িত্ববান সংগঠক হিসেবে আমি ছিলাম, আছি এবং থাকবো ইনশাআল্লাহ।
আমি ২০০৮ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। এছাড়াও চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচন ২০১৪, জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি (পরে যা স্থগিত হয়ে যায়)। ৯০ পরবর্তীতে জাতীয় পার্টির দুঃসময়ে এরশাদ মুক্তি আন্দোলন করতে গিয়ে আজ পর্যন্ত অনেক ঘাতপ্রতিঘাতকে সহ্য করে এবং সকল লোভ লালসাকে পরিহার করে এখনো এই দলের রাজনীতি করছি। কিন্তু পল্লীবন্ধু এরশাদের আদর্শের সাথে বেঈমানী করে একদিনের জন্যও কোনো অপশক্তির নিকট মাথা নত করি নাই। তিনি আরো বলেন, দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা যখন যে সময় আমাকে দলের প্রয়োজনে এবং নেতা-কর্মীদের সুখ দুঃখে তাঁদের প্রয়োজনে আমার কাছে এসেছে আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করেছি তাদের পাশে দাঁড়ানোর। সেই কারণে দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের চাহিদা অনুযায়ী আমি দলের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছি। দল যদি মনে করে আমাকে দলের এই দায়িত্ব দিলে সংগঠনের ভালো কাজ হবে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর জেলাকে একটি রাজনৈতিক সাংগঠনিক রূপে দাঁড় করাতে পারবো, তাহলে দল আমাকে এই পদে নির্বাচিত করবে।
আমি আমার রাজনৈতিক জীবনে দলের আদর্শকে লালন করে এরশাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি এবং আজীবন এ দলের রাজনীতি করবো। দলের পদ বড় নয়, ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বে দলকে সুসংগঠিত করে এগিয়ে নেয়া হলো এখন আমাদের মূল দায়িত্ব। তাই চাঁদপুরবাসীর প্রতি অনুরোধ থাকবে আসুন, ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে আগামীতে জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নিয়ে পল্লীবন্ধু এরশাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করি। আসুন ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বে আজকের এই সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন করি।
ইঞ্জিঃ শওকত আখন্দ আলমগীর জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির দু’বারের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য, জেলা জাতীয় পার্টির বর্তমান কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক, জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সদস্য সচিব এবং জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জেলা জাতীয় যুব সংহতির সাবেক সভাপতি, দুবার আহ্বায়ক ও জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত চাঁদপুর পৌরসভার তৎকালীন ৪নং ওয়ার্ডের সিলেক্ট কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি চাঁদপুরের বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া সংগঠন ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন দায়িত্বে রয়েছেন।