রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২২, ০০:০০

চাঁদপুরের কৃতী সন্তান ফজলুর রহমান বাবুলকে জাসদের সংবর্ধনা
স্টাফ রিপোর্টার ॥

প্রথিতযশা ক্রীড়া সংগঠক ও বাংলাদেশ খো খো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চাঁদপুরের কৃতী সন্তান মোঃ ফজলুর রহমান বাবুল জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়ায় সংবর্ধনা দিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। গত শুক্রবার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, কৃতী ক্রীড়া সংগঠক, মোহামেডান, টিএনটি কর্মকর্তা, খো খো ফেডারেশন, ক্রীড়া পরিবারের সম্পাদক, ক্যানারী ওয়ারফ ইউকে ফুটবল একাডেমির সিইও, জাসদের সহ-সভাপতি ফজলুর রহমান বাবুলকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়ায় ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে অভিনন্দন জানান জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার এমপি, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, অ্যাডঃ রবিউল আলমসহ অনেকে। সংবর্ধনা পেয়ে ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব বাবুল তার ৫০ বছরের ক্রীড়া অভিজ্ঞতা জানান।

সম্প্রীতি রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে ২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মনোনীত দেশের ৮৫ জন বরেণ্য ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব পুরস্কার গ্রহণ করেন। ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি চাঁদপুরের কৃতী সন্তান মোঃ ফজলুর রহমান বাবুলকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের পদক পরিয়ে দেন। সর্বোচ্চ এই পুরস্কার ২০১৪ সালের জন্যে ঘোষিত হয়েছিলো।

ফজলুর রহমান বাবুল ১৯৫১ সালে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার পাইকপাড়া ৮নং ইউনিয়নের কামালপুর পাটোয়ারী বাড়িতে জš§গ্রহণ করেন। এই কৃতী সন্তান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধিকার আন্দোলনের নিউক্লিয়াস। ৬৯-৭০ সালে ঢাকা শহর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, মতিঝিল থানার (বর্তমান ১১টি থানা) স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন। পাক হানাদার বাহিনী তার বাড়িটি ধংস করেছিল। চার যুগ ধরে ক্রীড়া অঙ্গনে তার বিচরণ। তিনি ঢাকা মোহামেডানের স্থায়ী সদস্য, বাফুফে, ডামফা, মফুলীর কর্মকর্তা হিসেবে ৪০ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। মতিঝিল টিএন্ডটি ক্লাবের চিফ অ্যাডভাইজার ও এবং প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। জাতীয় ও মোহামেডান ফুটবল দলের হয়ে বহুবার দেশে-বিদেশে টিম লিডার ও ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন। ফিফা মাঠ ও টার্ফ ম্যানেজমেন্টে দু’বার সার্টিফিকেট পেয়েছেন। এছাড়া ক্যানারী ওয়ারফ ইউকে ফুটবল একাডেমির চিফ কো-অরডিনেটর। ১৯৭৭ সালে মুক্তধারা-বাংলা একাডেমি একুশে সংকলন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া ১৯৭১ সালে পাকবাহিনী রাজারবাগ পুলিশ লাইনে হামলা চালালে পুলিশদের সহযোগী হিসেবে প্রথম পেট্রিয়টযোদ্ধা ছিলেন। ২৭ মার্চ, ৭১ সালে ২ জন বীর পুলিশ শহিদ হলে টিএন্ডটি ক্লাবের পেছনে অন্যদের সঙ্গে নিয়ে তাদের সমাহিত করেন। মোহামেডানের চার যুগের সাফল্যের অংশীদার তিনি। সৃষ্টি করেছেন অসংখ্য খেলোয়াড়। বর্তমানে বাংলাদেশ খো খো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মরহুম মিজানুর রহমান চৌধুরীর বাড়ি হচ্ছে ফজলুর রহমান বাবুলের মামার বাড়ি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়