বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   প্রাইভেটকারের ধাক্কায় বুয়েট শিক্ষার্থী নিহত: ডোপ টেস্টে ধরা পড়ল মাদকাসক্তি
  •   সাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাই: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ
  •   চাকা পাংচার হওয়ায় এনজিও কর্মকর্তার মৃত্যু
  •   বরগুনায় টিকটক নিয়ে পারিবারিক কলহ: স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী আত্মহত্যার চেষ্টা
  •   মানব পাচারের চক্রের বিরুদ্ধে বিজিবির সফল অভিযান: কিশোরী উদ্ধার, তিন আটক

প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২১, ০০:০০

পরিস্থিতি বেসামাল হলে তৈরি হবে ফিল্ড হসপিটা
রাসেল হাসান ॥

করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণ ঝুঁকিতে থাকা চাঁদপুরের শনাক্তের হার ৪০ শতাংশের ঘরে। গত শুক্রবার এ সংক্রমণের হার ৩৪.৫৪ শতাংশে নেমে আসলেও লকডাউনের চলমান শিথিলতা শেষে ঈদুল আযহার পর কেমন হবে চাঁদপুরের করোনা পরিস্থিতি, সংক্রমণের হার বাড়লে রোগীর চাপ সামলাতে কতটুকু প্রস্তুত আছে চাঁদপুরের স্বাস্থ্য বিভাগ সেটি নিয়ে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ থেকে কথা বলা হয় চাঁদপুর সিভিল সার্জন ডঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহর সাথে।

দীর্ঘ আলাপচারিতায় সিভিল সার্জন দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, এখন পর্যন্ত আমাদের ৮ উপজেলায় ৩৫০ টি বেড প্রস্তুত রয়েছে। করোনা সংক্রমণের বর্তমান রোগীর সেবা দিতে পুরো জেলায় ৩৫০টি বেডই হয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি খারাপ হলে বিকল্প ব্যবস্থায় যেতে হবে।

সিভিল সার্জনের দেওয়া তথ্য মতে, চাঁদপুর সদরে জেনারেল হাসপাতালে পূর্বে করোনার জন্য ছিলো ৬০টি বেড। সম্প্রতি আরও ৩০টি বেড সংযোজন করা হয়েছে। আরও ৬০টি বেড প্রস্তুত হচ্ছে। চাঁদপুর সদর উপজেলার জন্য এই ১৫০টি বেড প্রস্তুত আছে। এখানে এর চেয়ে বেশি বেড বাড়ানো সম্ভব নয়।

চাঁদপুরের উপজেলা পর্যায়ে ৫টি ৫০ শয্যার হাসপাতালে বর্তমানে ১০টি করে করোনা বেড রয়েছে। তার সাথে আরও ২০টি করে বেড বাড়িয়ে প্রতি হাসপাতালে মোট ৩০টি করে ৫ হাসপাতালে প্রস্তুত থাকবে আরও ১৫০ বেড। তবে এসব হাসপাতাল থেকে পরবর্তীতে ৫টি করে আরও ২০টি বেড বাড়ানো যাবে।

চাঁদপুরের উপজেলা পর্যায়ে ৩টি ৩০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ১০টি করে বেড নিয়ে প্রস্তুত রাখা আছে আরও ৩০টি বেড। সব মিলিয়ে একযোগে রোগীদের সেবা দিতে চাঁদপুরে প্রস্তুত রয়েছে ৩৫০টি বেড।

যদি পরিস্থিতি তার চেয়েও অবনতি হয় সেক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন বলেন, করোনা সংক্রমণ রোগীদের সেবা দিতে বিকল্প হাসপাতাল করারও পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। চাঁদপুর সদরে বিকল্প হাসপাতালের জন্য আমরা চাঁদপুর প্রিমিয়ার হাসপাতালকে বিবেচনা করেছিলাম। কিন্তু সরজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, ওই হাসপাতাল ভবনের উপরে আবাসিক থাকায় একই লিফটে হাসপাতালের কার্যক্রম ও আবাসিক বাসিন্দারা যাতায়াত করেন। তাই আপাতত প্রিমিয়ার হাসপাতালে বিকল্প ভেন্যু হচ্ছে না। তবে জরুরি সংকট নিরসনের জন্য চাঁদপুর ডায়াবেটিক সিটি সেন্টারকে আমরা ব্যবহার করবো। সেখানে হয়তো ১০-১৫টি বেড বাড়ানো যাবে। কিন্তু পরিস্থিতি যদি একেবারেই বেসামাল হয়ে পড়ে সেক্ষেত্রে চাঁদপুরে ১৫০ বেডের পৃথক একটি ফিল্ড হসপিটাল তৈরি করা হবে। সে বিষয়েও আমাদের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা রয়েছে। আপাতত আমরা সপ্তাহ টু সপ্তাহ পরিকল্পনা করছি। পরিস্থিতি ঘোলাটে হচ্ছে মনে হলেই ডাক্তার, নার্স, জনবল ও ইনস্ট্রুমেন্ট চেয়ে আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখবো। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকসহ জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি অবগত আছেন।

সিভিল সার্জন বলেন, তবে আমি মনে করি চাঁদপুরবাসী যদি করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে একটু আন্তরিক হোন, সরকারি নির্দেশনা মেনে চলেন এবং জেলা প্রশাসন থেকে গঠন করা ইউনিয়ন করোনা প্রতিরোধ কমিটি যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালন করেন তবে চাঁদপুরবাসীকে বেসামাল পরিস্থিতির দুর্দিন দেখতে হবে না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়