প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
হাইমচর উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের (নৌকা) ২ জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ২ জন বিজয়ী হয়েছেন। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন ছিলো শান্তিপূর্ণ। নির্বাচনে উপজেলার ৪ ইউনিয়নের মোট ২৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকল কেন্দ্রেই ছিলো ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটারগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পেরে খুশি।
২নং আলগী উত্তর ইউনিয়ন পরিষদে ৬৯০৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ আতিকুর রহমান পাটোয়ারী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাকসুদ আলম খান পেয়েছেন ৪৩৫৬ ভোট, হাবিবুর রহমান বেগ মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২৯৮১, হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী রুহুল আমিন পেয়েছেন ১১২৪ ভোট, আনারস প্রতীকের আব্দুল কুদ্দুছ পাটোয়ারী পেয়েছেন ২১৬ ভোট।
৩নং আলগী দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সরদার আব্দুল জলিল ১০১১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের সাহাবুদ্দিন টিটু হাওলাদার পেয়েছেন ৫৪৪৭ ভোট, হাতপাখা প্রতীকের সবুজ পেয়েছেন ৩৪৪ ভোট, চশমা প্রতীকে নূরে আলম জিকু পেয়েছেন ২৩ ভোট।
৪নং নীলকমল ইউনিয়ন পরিষদে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সউদ আল নাছের ৫৩০৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সালাউদ্দিন সরদার পেয়েছেন ২৯৯৪ ভোট, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী ইয়াছিন রতন পেয়েছেন ৮৭৩ ভোট, হাতপাখা মার্কার রায়হান উদ্দিন পেয়েছে ১৭৩ ভোট, লাঙ্গল প্রতীকে আবু সুফিয়ান মাঝি পেয়েছে ৩৭ ভোট।
৫নং হাইমচর ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা প্রতীকে জুলফিকার আলী জুলহাস সরকার ১২৫২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকে মনজুরুল হক নাঈম সরকার পেয়েছেন ১২১১ ভোট, আনারস প্রতীকে আব্দুল হক মোল্লা পেয়েছে ১১৮২ ভোট, হাতপাখা প্রতীকে রাজা মিয়া সরদার পেয়েছে ১০৬ ভোট ও চশমা প্রতীকে শাহিন মিয়া পেয়েছেন ৪২ ভোট।
