মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

টেস্ট দলের হয়ে প্রথম সফরে রেকর্ডের পাতায় চাঁদপুরের জয়
চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম ॥

নিউজিল্যান্ডের কঠিন কন্ডিশনে খেলতে নেমে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ইনিংসেই ফিফটি এবং টেস্ট দলের হয়ে প্রথম সফরে রেকর্ডের পাতায় নাম লেখালেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের মাহমুদুল হাসান জয়। মাস দেড়েক আগেও কেউ যদি বলতো, বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে ওপেন করবেন মাহমুদুল হাসান জয়, দলের ইনিংস শুরু করবে নিউজিল্যান্ড, তিনি নিজেও হয়তো হেসে উড়িয়ে দিতেন। সেই মাহমুদুল ওপেনার হিসেবেই গড়লেন এমন নজির, যা করতে পারেননি বাংলাদেশের আর কেউ! টেস্ট দলের হয়ে প্রথম সফরে তরুণ ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান জয় নাম লেখালেন রেকর্ডের পাতায়।

১৬৫ বলে ফিফটি। দিনশেষে ২১১ বলে অপরাজিত ৭০। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনটায় নিজেকে যেনো নতুন করে চেনালেন মাহমুদুল হাসান জয়। এ প্রথম বাংলাদেশের কোনো ওপেনার নিউজিল্যান্ডে খেলতে পারলো দেড়শ’র বেশি বল। এই তথ্য আর সংখ্যাগুলোতে ফুটে উঠছে ধৈর্য। যেভাবে সংখ্যাগুলোর জন্ম, তাতে মিশে আছে দৃঢ়প্রতিজ্ঞা ও হাল না ছাড়ার মানসিকতা। ধৈর্য আর প্রতিজ্ঞার মিশেলে ধ্রুপদি টেস্ট ব্যাটিংয়ের প্রতিচ্ছবি যেনো। মাহমুদুলকে ওপেনার বানানো ছিলো বড় একটা চমক। তিনি আরও বেশি চমকে দিলেন ব্যাটিং দিয়ে।

গত নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক জানান, মাহমুদুলকে ওপেনার হিসেবে দেখছে দল। দেশের ক্রিকেটে তখন প্রশ্ন আর বিস্ময়ের ঝড়। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচে ওপেন করে সাফল্য তার আছে বটে। তবে বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই তিনি তিন-চারে ব্যাট করেন মূলত। যুব টেস্টে খেলেছেন ওই পজিশনগুলোতেই, সেখানে সেঞ্চুরিও আছে চারে নেমে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একবারই ওপেন করার অভিজ্ঞতা তার ছিলো আগে।

নিউজিল্যান্ডে চ্যালেঞ্জটা আরও কঠিন। বিশ্বের বড় বড় ব্যাটসম্যানরাও ওখানকার কন্ডিশনে মানিয়ে নিতে হিমশিম খান। বাংলাদেশের আছে সেখানে অনেক দুঃসহ অভিজ্ঞতা। কন্ডিশনকে কাজে লাগানোর মতো দুর্দান্ত পেস আক্রমণ কিউইদের। ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, নিল ওয়্যাগনার ও কাইল জেমিসনকে নিয়ে গড়া পেস আক্রমণ দলকে এনে দিয়েছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি। বিরুদ্ধ এই পারিপার্শ্বিকতার মধ্যেও মাহমুদুল হাসান জয় মেলে ধরলেন নিজেকে।

তবে দিনটি ছিলো তার। লড়াই চালিয়ে দিনটি নিজের করে নেয়ার কৃতিত্বও তার। মাত্র ৬টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচের অভিজ্ঞতায় টেস্ট খেলতে নামা ২১ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং দুর্বলতা কিছু থাকাই স্বাভাবিক। সেসব নিয়ে কাজ করার সময়ও আছে সামনে। কিন্তু ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টেই যে টেম্পারমেন্ট, যে মানসিকতার ছাপ তিনি রেখেছেন, উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি সেখানেই।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়