অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায় হাইমচর উপজেলার ৪নং নীলকমল ইউনিয়নবাসী। তারা নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীকে আগামী ৫ বছরের জন্যে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করার ইচ্ছা পোষণ করেছে।

আগামী ৫ জানুয়ারি হাইমচর উপজেলায় ৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ। এ নির্বাচনে ৪টি ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে ২৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ৪নং নীলকমল ইউনিয়নে ৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। এরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সালাউদ্দিন সরদার (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী সাউদ আল নাসের (আনারস), হাজী ইয়াছিন রতন (ঘোড়া), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মোঃ রায়হান উদ্দিন (হাতপাখা) ও জাতীয় পার্টি থেকে সুফিয়ান মাঝি (লাঙ্গল)।

বিগত নির্বাচনে যেমনিভাবে সাধারণ ভোটারগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থীকে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করতে পেরেছে, একইভাবে পূর্বের তুলনায় এ নির্বাচনেও তারা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একটি স্বচ্ছ নির্বাচন চান। যেখানে নির্ভয়ে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ করার সুযোগ পাবে।

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সউদ আল নাছের বলেন, ৫ জানুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমিও একজন প্রার্থী। সে উপলক্ষে নির্বাচনী গণসংযোগে বিভিন্ন স্থানে গেলে বহিরাগত লোকজনের আনাগোনা লক্ষ্য করছি। যাদের কোনো ঠিকানা স্থানীয় কেউ জানে না। কেউ কেউ বলছেন এদের অধিকাংশের বাড়ি শরীয়তপুর জেলায়।

তিনি বলেন, নির্বাচন যেনো সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়, ভোটাররা যেনো তাদের ভোটাধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারে চাঁদপুর জেলা ও হাইমচর উপজেলা প্রশাসনের কাছে এটা তার জোর দাবি।

মেম্বার পদপ্রার্থী মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচন চাই। যে নির্বাচনে ভোটারগণ নির্ভয়ে কেন্দ্রে এসে পছন্দের প্রার্থীকে আগামী ৫ বছরের জন্যে সমর্থন দিতে পারে।

৪নং নীলকমল ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সালাউদ্দিন সরদার বলেন, আমি দাঙ্গা-হাঙ্গামা বা সন্ত্রাসবাদে নই, ভোটে বিশ^াসী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়ে এ ইউনিয়নে পাঠিয়েছেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমি ব্যক্তি সালাউদ্দিন কিছুই না, সকল উন্নয়ন সরকারের। তাই ৫ জানুয়ারি আমি ব্যক্তিগতভাবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একটি নির্বাচন চাই। যেখানে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবেন।