প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
ফরিদগঞ্জের ৩ ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই। এছাড়া বাকি ১০টি ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থীরা নিজেদেরকে স্বতন্ত্র প্রার্থী দাবি করে ইউপি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সক্রিয়ভাবে মাঠে রয়েছেন।
বিএনপির প্রার্থী না থাকা ইউনিয়নগুলো হচ্ছে : ১০নং গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন, ১৫নং রূপসা উত্তর ইউনিয়ন ও ১৬নং দক্ষিণ রূপসা ইউনিয়ন। এর মধ্যে ফরিদগঞ্জের সাবেক সাংসদ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা লায়ন হারুনুর রশিদ ও সাবেক সাংসদ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ড. শামছুল হক ভূঁইয়ার নিজ ইউনিয়ন ১৬নং রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী নেই। তবে ওই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের শরীফ খান চেয়ারম্যান প্রার্থী থাকলেও ইতিপূর্বে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান অহিদুর রহমান খন্দকার (চশমা), আবদুল কাদের খোকন মেম্বার (আনারস) ও জহিরুল ইসলাম (মোটরসাইকেল) প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন।
বর্তমান এমপি মুহম্মদ শফিকুর রহমানের নিজ ইউনিয়ন ২নং বালিথুবায়ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জিএম হাসান তাবাচ্ছুমের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে হারুন অর রশিদ আনারস প্রতীক নিয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে রয়েছে। একই ইউনিয়নে বিএনপির সাবেক এমপি আলমগীর হায়দার খানের সহোদর ভাই নয়ন (চশমা) প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে তিনিও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। এই ইউনিয়নে ৩ প্রার্থীই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে জয় নিশ্চিত করতে ভোট চেয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অহিদুর রহমান খন্দকার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল কাদের খোকন ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য জহিরুল ইসলাম, ২নং বালিথুবা ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হারুন অর রশিদকে ইতিমধ্যে দল থেকে আজীবনের জন্যে বহিষ্কার করা হলেও কেউই জেলা আওয়ামী লীগের ওই বহিষ্কারাদেশ আমলেই না নিয়ে বীরদর্পে নিজের জয় নিশ্চিত করতে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।