প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে বছরের মাঝামাঝি সময়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষা নেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও ২০২২ শিক্ষাবর্ষে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় পরীক্ষা নৈর্বাচনিক ও নৈর্ব্যক্তিক এই দুটি বিষয়ে নেয়া হতে পারে। পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলে শুধু নৈর্বাচনিক বিষয়ের ওপরে তত্ত্বীয় পরীক্ষা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষা বছরের মাঝামাঝি সময়ে জুন-জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে। এজন্যে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস নেয়া হবে। সপ্তাহে ৬ দিন ক্লাস নেয়া হতে পারে।
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সচেতন করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে রূপকল্প ২০৪১ ঘোষণা করেছেন তা বাস্তবায়ন করতে শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরিবর্তনশীল বিশ্বের শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, সরকার শুধুমাত্র জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার পরিবর্তে দক্ষতা ও প্রায়োগিক শিক্ষায় গুরুত্বারোপ করেছে। সে লক্ষ্যে নতুন পাঠ্যক্রম প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে। ২০২২ সালে ৬০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন কারিকুলাম পাইলটিং করা হবে এবং ২০২৩ সালে নতুন পাঠ্যক্রমের ভিত্তিতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষাব্যবস্থার সকল পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ যে লক্ষ্যমাত্রা ঘোষিত হয়েছে, তার সফল বাস্তবায়নের জন্যে দরকার আধুনিক প্রযুক্তি-জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ। দক্ষ জনসম্পদ তৈরি করতে কারিগরি শিক্ষার হার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। দক্ষ জনসম্পদ তৈরি নিশ্চিত করতে ২০৩০ সাল নাগাদ ৩০ শতাংশ এবং ২০৪০ সাল নাগাদ ৫০ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বৃদ্ধি করা হচ্ছে কারিগরি শিক্ষার পরিধি।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লব উপযোগী শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে কারিগরি শিক্ষার পরিধি। দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি করবে সরকার। ১০০টির কাজ চলমান রয়েছে। বিভাগীয় পর্যায়ে মহিলা পলিটেকনিক স্কুল তৈরি করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।