প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
গোলাম মোস্তফা ॥
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে আঞ্চলিক ও মাঠ পর্যায়ে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, কর্ম-পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নের লক্ষ্যে অংশীজনের অংশগ্রহণে জুম অ্যাপসের মাধ্যমে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার ২৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় আয়োজিত সভায় একযোগে দেশের সকল জেলা ও মহানগর কার্যালয় সংযুক্ত ছিল। সভায় সভাপতিত্ব করেন এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পরিকল্পনা, ডিজাইন ও গবেষণা ইউনিট) শেখ মোহাম্মদ মহসিন। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশীদ খান।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই অংশ হিসেবে উন্নত দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্যে আমাদের মন্ত্রণালয়সহ সবাই কাজ করছি। আমাদের কাজগুলোতে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চাই। সেজন্যে আমরা দেশব্যাপী সংযুক্ত হয়েছি এবং আপনাদের সাথে কথা বলছি। কাজের গুণগত মান রক্ষায় আমরা প্রান্তিক পর্যায়েও সংযুক্ত হচ্ছি। আমরা যে কাজগুলো করছি সেগুলো সঠিকভাবে ফোকাস হচ্ছে না। আমাদের সকল কাজের তথ্য সবাইকে জানাতে হবে, জনগণ জানলেই সব কাজ ভালো হবে। কাজ শুরুর আগে জানান কী কাজ হচ্ছে। সাধারণ মানুষ জানার জন্যেই আমরা কাজ করছি।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, খারাপ কাজের সংবাদের সাথে ভালো কাজের সংবাদগুলোও প্রকাশ করবেন। তাহলে আমরা উৎসাহিত হবো। আপনাদের সংবাদের তথ্যগুলো সঠিক হলে আমরা তা গ্রহণ করে ব্যবস্থাগ্রহণ করবো। তথ্য সরবরাহ সঠিকভাবে না হলে নেগেটিভ নিউজ হয়। আমি সাংবাদিকদের কাছে ঋণী। কারণ তারা আমাদেরকে তৃতীয় নয়ন দিয়ে ভুলগুলো দেখিয়ে দেন। যেসব সাংবাদিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমাদের ভুলত্রুটি তুলে ধরেন তারাই আমাদের প্রকৃত বন্ধু।
তিনি বলেন, এলজিইডির কাজের সাথে সাংবাদিকদের দূরত্ব থাকা ঠিক নয়। যত দূরত্ব কমবে, তত সহযোগিতা ও সহমর্মিতা বাড়বে। কাজের মধ্যে জনসম্পৃক্ততা থাকলে কাজ আরো ভালো হয়। সাংবাদিকদের সাথে দূরত্ব কমিয়ে আনার জন্য কয়েকমাস পর পর মিট দ্য প্রেস করতে হবে।
তিনি ঠিকাদারদের বিভিন্ন সমস্যার কথা গুরুত্ব সহকারে শোনেন। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের যে বরাদ্দ দেয়া হয়, তা আনুপাতিক হারে দেয়া হয়। অনেক মেতে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শুরু করতে পারি না। তবে সঠিক সময়ে কাজটি বাস্তবায়ন করতে পারলে সাধারণ মানুষও আগ থেকেই সুবিধা ভোগ করতে পারেন। এসব বিষয়ে আমরা সার্বিক পরিবর্তন ও উন্নতি করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। অংশগ্রহণকারী সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
সভায় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আলী আখতার হোসেনসহ জেলা ও বিভাগীয় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী, সাংবাদিক, ঠিকাদার ও সুধীজন বক্তব্য রাখেন।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে করা, সম্পত্তিগত জটিলতা নিরসন, কাজের ক্ষেত্রে সঠিক সংবাদ তুলে ধরার জন্য পরামর্শ ও প্রস্তাব রাখেন। বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ কয়েকজন বক্তব্য রাখেন।
বিভিন্ন জেলার বেশ কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক সভায় বক্তব্য রাখেন। এতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডির) জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের সাথে সাংবাদিকদের যে দূরত্ব তা কমিয়ে আনার আহ্বান জানান। কর্মকর্তাগণ যেন সাংবাদিকদেরকে তাদের উন্নয়ন কাজের তথ্যগুলো সঠিক সময়ে সরবরাহ করেন এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে আরো উন্নতি করেন এসব বিষয়ে পরামর্শ দেন।
একই সময় চাঁদপুর প্রান্তে এলজিইডি কার্যালয়ের কামরুল ইসলাম সিদ্দিক হলে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী এএসএম রাফেউল ইসলাম, চাঁদপুরের ৮ উপজেলার প্রকৌশলী, সহকারী সহকারী প্রকৌশলীগণ, সাংবাদিক ও ঠিকাদারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সাংবাদিকগণ এলজিইডির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের উন্নয়নের চিত্রগুলো তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদেরকে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তথ্য সরবরাহের অনুরোধ করেন।