প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২১, ০০:০০
তৃতীয়দিনে জেলায় ২২টি মোবাইল কোর্টে ১৬৭ জনকে সোয়া লক্ষাধিক টাকা জরিমানা
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক কঠোর বিধিনিষেধের ৩য় দিনেও চাঁদপুরে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ছিলো চোখে পড়ার মতো।
|আরো খবর
গতকাল শনিবার কঠোর বিধিনিষেধ তথা লকডাউন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় চাঁদপুর শহরসহ পুরো জেলায় ২২টি মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের এসব মোবাইল কোর্টে লকডাউনের বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ১৬৭টি মামলায় ১৬৭ জনকে অর্থদ- দেয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয় ১ লাখ ২৯ হাজার ১৫০ টাকা। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুন্নাহার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
অন্যান্য দিনের মতো গতকাল সকাল থেকে শহরের সড়কগুলো ছিলো অনেকটাই যানবাহন ও জনমানবশূন্য। তবে বেলা বাড়ার সাথে অসচেতন বহু মানুষকে রাস্তায় বের হতে দেখা যায়। তারা বিভিন্ন অজুহাতে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বের হন। অনেককেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। পণ্যবাহী ও কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি এবং মোটরবাইক বাদ দিলে সড়কে বেশিরভাগ রিকশা চলাচল করেছে।
শহরে প্রবেশ মুখগুলোতে পুলিশ মোতায়েন ছিল। ফলে শহরে যানবাহন প্রবেশ ও বের হতে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের কড়াকড়ি আগের দিনের মতই পরিলক্ষিত হয়। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবিসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সরকারি বিধিনিষেধ কঠোরভাবে বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হেলাল চৌধুরী জানান, লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ, সেনাবাহিনী ও পুলিশ কাজ করছেন। যারা প্রয়োজনে রাস্তায় বের হচ্ছেন তাদের মাস্ক পরার বিষয়ে সচেতন করছি। অন্যদের জরিমানা করা হচ্ছে।
কুমিল্লা সেনানিবাস ৩-বি ইউনিটের ক্যাপ্টেন সায়েম জানান, আমরা সিভিল প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে মাঠে কাজ করছি। বর্তমানে সদর ইউএনও মহোদয়ের সহায়তায় জনগণকে করোনা সংক্রমণ ও বিধিনিষেধ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করছি। সবাই যেন মাস্ক পরে এবং যারা জরুরি প্রয়োজনে ও চিকিৎসা নিতে অটোরিকশা বা অটোবাইকে যাতায়াত করছে, তাদেরকে আমরা যেতে দিচ্ছি। অন্যদের মোবাইল কোর্টের কাছে হস্তান্তর করে জরিমানার আওতায় শাস্তি প্রদান করা হচ্ছে।