প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২১, ১১:৪৭
আল-আমিন হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর ঘটনা সাড়ে ৩ লক্ষ টাকায় রফাদফা
চাঁদপুর শহরের নতুনবাজার উকিল পাড়াস্থ আল-আমিন হাসপাতালে ডাঃ শামসুন্নাহার তানিয়ার ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুবরণকারী নারীর পরিবারের সাথে ঐ রাতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাড়ে ৩ লক্ষ টাকায় রফাদফা হয়েছে।
|আরো খবর
এ ঘটনা রোগীর স্বজনরা জানার পর হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। এক পর্যায়ে গভীর রাতে চাঁদপুর সদর উপজেলা যুবলীগের সাবেক এক শীর্ষ নেতা, জেলা জামায়াতের শীর্ষ নেতা ও রোকন, নতুনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ, চাঁদপুরের কথিত এক সংবাদ কর্মীর উপস্থিতিতে রোগীর পরিবার আইনগত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না এমন শর্তে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকায় রফাদফা হয়। তারপর রোগীর লাশ হাসপাতাল থেকে নেয়া হয়।
জানা যায়, উক্ত সাড়ে ৩ লাখ টাকার মধ্যে রোগীর পরিবারকে ৩ লাখ টাকা দেয়া হয় এবং ৫০ হাজার টাকা উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সমঝোতায় উপস্থিত সালিস এবং কথিত ঐ সাংবাদিককে দেয়া হয়। এ বিষয়ে ডাঃ শামসুন্নাহার তানিয়ার মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে এমন রফাদফার বিষয়ে নতুনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামানের সাথে সরাসরি কথা হলে তিনি বলেন, ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। কিন্তু মৃত রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদেরকে এ বিষয়ে লিখিত বা অলিখিত কোনো অভিযোগ দেয়া হয়নি। ফলে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ সম্ভব হয় নি। তাছাড়া আমাদের উপস্থিতিতে রফাদফা বিষয়ে আমি অবগত নই। সেখানে যেনো কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এজন্যে আমি দীর্ঘ সময় উপস্থিত ছিলাম। ঘটনার বিষয়ে আল-আমিন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আঃ শুক্কুর মাস্তানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সকল বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের সাথে কথা বলতে পারেন। এর বাইরে তিনি আর কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতাসীন থাকা অবস্থায় চাঁদপুর শহরের বড় একটি পুকুর ভরাট করে জামায়াত নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হয় আল-আমিন হাসপাতাল (প্রাঃ) লিঃ। জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং জেলা পর্যায়ে নেতৃত্ব দেন এমন ক’জন ব্যক্তি কর্মকর্তা ও কর্মচারী হিসেবে এ হাসপাতালের পরিচালনায় জড়িত। ফলে জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর জেলা শাখার চিকিৎসা সেবার প্রতিষ্ঠান হিসেবে জেলাবাসীর কাছে পরিচিত আল-আমিন হাসপাতাল।