শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০

হাজীগঞ্জে ফের সিজারিয়ান অপারেশনে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ!
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

হাজীগঞ্জে ফের সিজারিয়ান অপারেশনে দায়িত্ব অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু অভিযোগ উঠেছে। এবারের অভিযোগ, হাজীগঞ্জ পৌরসভার পেছনে আরিয়ানা হাসপাতালের বিরুদ্ধে। থানায় লিখিত দিয়ে লাশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর আগে হাসপাতালের সামনে থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। নিহত সানজিদা শাহরাস্তি উপজেলার মুড়াগাঁও গ্রামের হাজী বাড়ির মহিনুল ইসলামের স্ত্রী এবং হাজীগঞ্জ উপজেলার ৭নং বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের সাদ্রা মিয়াজী বাড়ির শাহজালালের মেয়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাজীগঞ্জ ইসলামিয়া মডার্ন হাসপাতালে জরায়ু কেটে কনডম ক্যাথেডার দিয়ে সেলাই, হাজীগঞ্জ সেন্ট্রাল হসপিটালে সিজারিয়ান অপারেশনে গাফিলতিতে মৃত্যুসজ্জায় প্রসূতি, ভিআইপি হাসপাতালে সিজারে মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। এসব ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ না হলেও সর্বশেষ হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজার পৌর ভবনের পেছনে আরিয়ানা হসপিটালে সিজারিয়ান অপারেশনে দায়িত্বে অবহেলায় সানজিদা নামে ১৯ বছর বয়সী গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় ভোর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত হাসপাতালের সামনে হট্টগোল সৃষ্টি হয়।

হাসপাতালের সামনে সানজিদার মৃতদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স প্রায় ৪ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকলেও হাসপাতালের গেট খুলে এগিয়ে আসেনি হাসপাতালের কেউ। এ সময় প্রসূতির স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠলে জড় হতে থাকে উৎসুক জনতা। এর পরেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজীগঞ্জ থানার এসআই আব্দুল আজিজ সঙ্গীয় ফোর্স পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে সকাল ৮টায় প্রসূতির মৃতদেহ থানায় নিয়ে আসে।

নিহত প্রসূতি সানজিদার মা শিল্পী বেগম ও মামা বলেন, ১৮ এপ্রিল মেয়েকে জীবিত এনে এখন লাশ নিয়ে বাড়ি যেতে হচ্ছে, আল্লাহ যেনো তাদের বিচার করে। হাসপাতালে অপারেশনের প্রস্তুতি নিতে যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়। রাত ১০টায় সিজার অপারেশনের সময় দেয়া হলেও ইফতারের ঠিক আগ মুহূর্তে সন্ধ্যা ৬টায় সিজার করা হয়। রোগীর স্বজনরা বারবার রোগীর খোঁজ নিতে জিজ্ঞাসা করলে রোগী ভালো আছে বলে আমাদের জানানো হয়। ঘণ্টাখানেক পর রোগীর অবস্থা গুরুতর বলে কুমিল্লায় পাঠানোর জন্য হাসপাতালের নিজস্ব লোক দিয়ে তড়িঘড়ি অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেয়া হয়। কুমিল্লা টাওয়ার হসপিটালে নেয়ার পর আইসিইউতে ভর্তি করালে কর্মরত চিকিৎসক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান। এরপরেই আমরা কুমিল্লা থেকে অ্যাম্বুলেন্সে লাশ নিয়ে হাসপাতালের সামনে অবস্থান করি।

আরিয়ানা হাসপাতালের ডাঃ আরিফুল ইসলাম সুমন বলেন, রোগীর অবস্থা ভালো ছিলো না। হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে। অপারেশনে কোনো ত্রুটি হয়নি।

নিহতের মামা ৭নং বড়কূল পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম জানান, সিজারের নামে আমার ভাগনিকে আজ মরতে হলো। মৃত্যুর পর ফের লাশটিকে কাটাছেড়া (ময়নাতদন্ত) করতে হবে বলে লিখিত দিয়ে লাশ নিয়ে গেলাম।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জোবাইর সৈয়দ বলেন, হাসপাতালের সামনে থেকে আমরা মৃতের লাশ থানায় নিয়ে আসি। এরপরেই নিহতের স্বজনদের কোনো অভিযোগ না থাকায় তাদের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে লাশ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন বলেন, ইতিপূর্বে দুটি মৃত্যার ঘটনায় আমার তদন্ত করছি। আরিয়ানা হাসপাতালের বিষয়েও তদন্ত করবো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়