বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   প্রাইভেটকারের ধাক্কায় বুয়েট শিক্ষার্থী নিহত: ডোপ টেস্টে ধরা পড়ল মাদকাসক্তি
  •   সাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাই: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ
  •   চাকা পাংচার হওয়ায় এনজিও কর্মকর্তার মৃত্যু
  •   বরগুনায় টিকটক নিয়ে পারিবারিক কলহ: স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী আত্মহত্যার চেষ্টা
  •   মানব পাচারের চক্রের বিরুদ্ধে বিজিবির সফল অভিযান: কিশোরী উদ্ধার, তিন আটক

প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:১৩

নৌযান শ্রমিকদের আল্টিমেটাম শেষ বুধবার রাত ১২টায়

স্থানীয় দুর্বৃত্তরাই কি ঘটনা ঘটিয়েছে?

হামলার ঘটনা ঘটে রাতের শেষদিকে : রহস্যজনক বলে মন্তব্য আহত জুয়েলের

গোলাম মোস্তফা
স্থানীয় দুর্বৃত্তরাই কি ঘটনা  ঘটিয়েছে?
নৌযান শ্রমিকদের ঘোষিত কর্মসূচি।

হাইমচর সীমানায় মাঝেরচর এলাকায় মেঘনা নদীতে এমভি আল-বাখেরা নামক মালবাহী জাহাজের ৭ শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা রহস্যের জন্ম দিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডটি কি স্থানীয় জলদস্যু বা দুর্বৃত্ত দ্বারাই সংঘটিত হয়েছে নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড--এমন প্রশ্ন জনগণের মাঝে। তবে সকল রহস্যের ভেদ খোলার একমাত্র ভরসা উক্ত ঘটনায় আহত জাহাজ শ্রমিক জুয়েল। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানকার ডাক্তারদের মতামত অনুযায়ী তিনি কিছুটা আশঙ্কামুক্ত, কিন্তু পুরোপুরি নন। চিকিৎসকরা জানান, জুয়েলের শ্বাসনালী কেটে যাওয়ায় শ্বাস নেয়ার জন্যে কৃত্রিম নল লাগানো হয়েছে। এদিকে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে মরিয়া নৌপুলিশ। সেই কারণে চিকিৎসাধীন জুয়েলের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে নৌ পুলিশের। আহত জুয়েল কিছুটা সুস্থবোধ করলে তার সাথে কথা বলতে চেষ্টা করেন নৌ পুলিশ। কিন্তু জুয়েল কথা বলতে না পারায় ইঙ্গিত দিয়ে বলেন খাতা-কলম দেয়ার জন্যে। সেই ইঙ্গিতে নৌ পুলিশ এগিয়ে দেন খাতা-কলম। এরপর যতোটুকু সম্ভব তিনি কিছু লেখার চেষ্টা করেন। সেই চেষ্টা অনুযায়ী জানা গেছে, গভীর রাতে অর্থাৎ রাত ৩টার কিছু পূর্বে ঘটনাস্থলে এমভি বাখেরা জাহাজটি নোঙ্গর করা হয়। এরপর তারা ঘুমানোর পূর্বে জাহাজের আনুষঙ্গিক কাজ সেরে সকলে যার যার নির্ধারিত রুমে ঘুমাতে যান। ইতিমধ্যে রাত ৪টার মতো বেজে যায়। প্রায়ই সকলে ঘুমিয়ে গেছেন বা ঘুমাচ্ছেন এমন হবে। এ অবস্থায় রাত ৪টার দিকে ৭/৮ জনের একটি দুর্বৃত্তের দল জাহাজে উঠে কেবিনের দরজায় নক করতে থাকে। এক পর্যায়ে দরজা খোলার সাথে সাথেই তারা আমার গলায় ছুরিকাঘাত করে। এর বেশি কিছু তার জানা নাই বলে তিনি জানান। তবে পরবর্তীতে এমন নির্মম ঘটনা ঘটবে সেটা তিনি বুঝতে পারেননি। তিনি ইঙ্গিত করে বোঝানোর চেষ্টা করে বলেন, ওরা হয়তো স্থানীয় হতে পারে বা আশপাশের হতে পারে। এদিকে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে সাত শ্রমিক-কর্মচারী হত্যার ঘটনায় একের পর এক নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে নৌযান শ্রমিকরা। নৌযান শ্রমিকদের পক্ষ থেকে অবিলম্বে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার এবং নিহত শ্রমিকদের পরিবারগুলোকে সরকারিভাবে সহায়তার আহ্বান জানানো হয়। নৌযান শ্রমিকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে একটি আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। সেটি হচ্ছে, বুধবার (২৫ ডিসেম্বর ২০২৪) রাত ১২টার মধ্যে ঘোষিত দাবি মানা না হলে ২৬ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশে একযোগে নৌপথে সকল নৌ পরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়