প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৩২
শ্বশুরের বসতঘর পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে
স্ত্রীর ওপর ক্ষোভের জেরে শ্বশুরের বসতঘর পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে জামাইয়ের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, এর আগে স্ত্রীর হাত ভেঙ্গে দিয়েছে জামাই। ঘটনাটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী চাঁদপুর সদর উপজেলাধীন পূর্ব মদনা গ্রামে বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে দশ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের।
সরজমিনে জানা যায়, পূর্ব মদনা গ্রামের মিন্টু পাঠানের ছোট মেয়ে নূপুর আক্তারের সাথে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম মদনা গ্রামের শাজাহান খানের ছেলে মেহেদী হাসান সানীর দীর্ঘদিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক বিয়েতে গড়ায় গত ৮ মাস পূর্বে। বিয়েটি উভয় পরিবারের লোকজন মেনে নিলেও যৌতুকসহ বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে তাদের পারিবারিক বিরোধ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে স্ত্রী নূপুর আক্তারকে মারধর করে তার হাত ভেঙ্গে দেয় জামাই। বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডের শিকার ক্ষতিগ্রস্ত মিন্টু পাঠান ও তার স্ত্রী শাহিদা বেগম বলেন, মেয়েটিকে বিয়ে দেয়ার পর থেকেই মেয়ের জামাই যৌতুক দাবিসহ বিভিন্ন অজুহাতে আমাদের মেয়েটির ওপর নির্মম অত্যাচার করেছে। পিটিয়ে মেয়েটির হাত ভেঙ্গে দেয়ার পর তাকে ডাক্তার পর্যন্ত দেখায়নি। এক পর্যায়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে আমরা ঢাকাতে নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। এখনো মেয়ের চিকিৎসা চলমান। জামাই একাধিকবার হুমকি দিয়েছে সে আমাদের ঘরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিবে। জামাই ছাড়া আমাদের কারো সাথে কোনো শত্রুতা নেই। সর্বশেষ বুধবার রাতে আমাদের বসতঘরটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে জ্বালিয়ে দেয়।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সালিস ইউনুছ বলেন, জামাই মেহেদী হাসান সানী কর্তৃক এই মেয়েটি অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আমিসহ অন্যরা বিভিন্ন সময়ে সালিসের মাধ্যমে তাদের মিলিয়ে দিলেও ফের নির্যাতনের শিকার হতে হয় মেয়েটিকে। এ ব্যাপারে মেহেদী হাসান সানীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের স্বামী-স্ত্রীর বিভিন্ন সমস্যা আছে। আমার স্ত্রী নূপুরকে মারধর করেছি এটা সঠিক। কিন্তু তাদের বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডের সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দলনেতা কামরুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। অগ্নিকাণ্ডের সময় বিদ্যুৎ ছিল না, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণেও হয়নি। তবে বসতঘরটির কোনো আসবাবপত্র উদ্ধার করা যায়নি। বিষয়টি রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি আমরা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উল্লেখিত ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।