প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২২, ০০:০০
পদ্মা সেতু উদ্বোধন উদ্যাপনে চাঁদপুরেও উৎসবের আমেজ
আজ ২৫ জুন সেই মাহেন্দ্রক্ষণ ‘একটি স্বপ্নের উন্মোচন, পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন’। এদিন সকালে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরেও একযোগে উদ্যাপন করা হবে। অনুষ্ঠানের সাথে অনলাইন প্লাটফর্মে সরাসরি যুক্ত থাকবে চাঁদপুর। পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ বইছে চাঁদপুরে।
|আরো খবর
বাংলাদেশ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, সেতু কর্তৃপক্ষ ও সেতু বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক জেলা প্রশাসন চাঁদপুর জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। চাঁদপুর স্টেডিয়ামে হবে সেই উৎসব অনুষ্ঠান। সকাল সাড়ে ৮টায় সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সুধীজন, সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনসহ সকল স্তরের হাজার হাজার মানুষ ব্যানার ফেস্টুন প্ল্যাকার্ড বহন করে বর্ণিল সাজে আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নিবে এবং অনুষ্ঠানস্থলে জড়ো হবে।
চাঁদপুর স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে করা অনুষ্ঠানস্থল থেকে সবাই প্রধানমন্ত্রীর পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠান উপভোগ করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর এখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এই অনুষ্ঠানে বিশ সহস্রাধিক লোকের সমাগম হবে বলে আগে থেকেই জানান দিয়েছেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।
চাঁদপুর স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠান সফল করতে শুক্রবার বিকেলে প্রস্তুতি কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেছেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। এ সময় জেলা পরিষদের প্রশাসক আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটোয়ারী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, অ্যাডঃ মজিবুর রহমান ভূঁইয়াসহ নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সেতু মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে সেতু উদ্বোধন করে গাড়িতে চড়ে সেতু পার হয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে যাবেন। সেখানে আরেক দফা আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেবেন। পরে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ীতে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন।
সেতু বিভাগ সূত্র আরো জানায়, সেতুটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের জন্যে ম্যুরাল ও ফলক নির্মাণ করা হয়েছে। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে ৪০ ফুট উচ্চতার দু’টি ম্যুরাল নির্মিত হয়। দু’টি ম্যুরালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি রয়েছে। এর পাশেই নির্মাণ করা হয়েছে উদ্বোধনী ফলক।
সেতু উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ সারা দেশের মানুষের শক্তিশালী যোগাযোগ স্থাপনসহ কাক্সিক্ষত স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সমাজের সুধীজনেরা।