রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২০ জুন ২০২২, ০০:০০

মেঘনায় বাড়ছে পানি ও স্রোতের তীব্রতা

মেঘনায় বাড়ছে পানি ও স্রোতের তীব্রতা
মিজানুর রহমান ॥

টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে চাঁদপুরের মেঘনা, ডাকাতিয়া ও ধনাগোদা এই তিন নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নিম্নাঞ্চল তেমন প্লাবিত না হলেও পর্যবেক্ষক মহল চাঁদপুরেও বন্যার আশঙ্কা করছেন। পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া এই তিন নদীর মিলনস্থল দিয়ে এখন প্রবল বেগে স্রোত বইছে এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় নদী উত্তাল রয়েছে। মেঘনার পানি জোয়ারে বিপদসীমা অতিক্রম করেনি এখনো, বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয় সূত্রে জানা যায়। পানি বৃদ্ধির আতঙ্কে রয়েছে নদীপাড়ের মানুষরা।

বাসস জানায়, পানি বৃদ্ধির ফলে চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধের বিভিন্ন পয়েন্ট ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বাঁধ এলাকায় তীব্র স্রোত বইছে। এখন যে স্থান দিয়ে নৌপথে লঞ্চ চলাচল করে সেটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। সতর্কতার সাথে নৌযানগুলো চলাচল করতে বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে নৌযান চালকদের সতর্ক করা হয়েছে।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম রেফাত জামিল জানান, তিনি বাঁধের পুরাণবাজারের ব্লক দেবে যাওয়া ঘটনাস্থল, নতুনবাজারের মোলহেড ও টিলাবাড়ি এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। তবে আমরা সতর্ক রয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা বাঁধের নতুনবাজার ও পুরাণবাজার এলাকা ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষাকল্পে একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেছি। খবর শুনে আমরা এসে স্থানটি চিহ্নিত করে সার্ভে শুরু করেছি ও বালিভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করেছি। পাশাপাশি ব্লক ডাম্পিংয়ের কাজও চলছে। আমরা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৩ হাজার বালি ভর্তি বস্তা, ১৩ হাজার সিসি ব্লক আমাদের মজুদে রেখেছি।

এদিকে, জেলা উপজেলা মৎস্য দপ্তর থেকে চাঁদপুরের সকল মৎস্য চাষীকে বন্যার আগাম সতর্ক সংকেত দেয়া হয়েছে।

চাঁদপুর সদর উপজেলার উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মৎস্য চাষীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বন্যার পানিতে পুকুর প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই নেট দিয়ে ঘিরে রাখার আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। দেশের অন্যান্য জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবস্থার আলোকে আমাদেরও সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়