প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০০:৪৮
মৌলভীবাজার গণঅবস্থান কর্মসূচি
সমাধানে এগিয়ে এলেন দুই জেলার নেতৃবৃন্দ

|আরো খবর
দুপুরে মৌলভীবাজার শহরের ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে অংশ নেন বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি, পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন, অটোরিকশা চালক সমিতি এবং সর্বস্তরের মানুষজন।
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন রফিকুল ইসলাম রসিক, আজিজুল হক সেলিম, আব্দুর রহিম আনছার, আব্দুর রব, তোফায়েল আহমেদ তোয়েল, মো. আনোয়ার মিয়াসহ অনেকে।
প্রসঙ্গত, গত ১ নভেম্বর শ্রীমঙ্গল-মৌলভীবাজার-সিলেট রুটে বিরতিহীন বাস সার্ভিস উদ্বোধন করেন সাবেক এমপি এম নাসের রহমান। এদিন হবিগঞ্জ-সিলেট রুটে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হন।
এই মন্তব্যের জেরে হবিগঞ্জ মোটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু মঈন চৌধুরী সোহেল সংবাদ সম্মেলনে মৌলভীবাজারকে ‘বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন’ করার হুমকি দেন।
এই হুমকিতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় মৌলভীবাজার জেলা পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো। সকাল ১১টায় মৌলভীবাজারে সড়ক অবরোধ ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। পরে দুই জেলার নেতারা আলোচনায় বসার আশ্বাস দিলে তা স্থগিত করা হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে যোগাযোগ করেন হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ এবং মৌলভীবাজার বিএনপির নেতারা।
ফয়জুল করিম ময়ূন বলেন, “আইন অনুযায়ী হবিগঞ্জের গাড়ি মৌলভীবাজারে যাবে, মৌলভীবাজারের গাড়ি হবিগঞ্জে যাবে—এটাই নিয়ম। উত্তেজনা নয়, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান হবে।”
তিনি আরও বলেন, “মৌলভীবাজারবাসী ধৈর্য ধরুন—সমাধানের পথে আমরা অনেকটা এগিয়ে গেছি।”
আব্দুর রহিম রিপন বলেন, “আমরা কটূক্তির জবাবে শান্তির বার্তা দিতে চাই। মৌলভীবাজারবাসী সম্প্রীতির মানুষ।”
রিপন উদ্বেগ প্রকাশ করেন, “দেশে-বিদেশে সাইবার যুদ্ধ শুরু হয়েছে, কিন্তু এটি মৌলভীবাজারের সংস্কৃতি নয়।”
গণঅবস্থানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষার্থীসহ সবাই অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, “মৌলভীবাজারের মর্যাদাহানি কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। জেলার ঐতিহ্য ও সুনাম রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
তারা আরও বলেন, “মৌলভীবাজার একটি ঐতিহ্যবাহী ও সংস্কৃতিমণ্ডিত জেলা। যে কোনো অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলব।”
বক্তারা ঘোষণা দেন, “মৌলভীবাজারকে হুমকি দেওয়া মানেই বাংলাদেশের ঐক্যে আঘাত। এমন উসকানি আর সহ্য করা হবে না।”
ডিসিকে /এমজেডএইচ








