প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০:৩৫
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখার গণসমাবেশ
হাজার হাজার মানুষ হত্যার দায়ে জনতার আদালতে শেখ হাসিনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে হবে --আল্লামা মামুনুল হক
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব
|আরো খবর
আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কয়েক হাজার হত্যা মামলা হওয়া উচিত। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এবং বিডিআরকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করতে হবে। এরপর সামরিক আইনে শেখ হাসিনার বিচার হওয়া উচিত। ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে তৌহিদি জনতাকে হত্যা করার জন্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলা করতে হবে।
শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুর শহরের হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও আওয়ামী দুঃশাসন বাংলাদেশের উন্নয়ন কিংবা জনগণের জন্যে কাজ করেনি। বরং তারা আরেকটি দেশের স্বার্থে বাংলাদেশের ক্ষমতার মসনদকে পুঁজি করেছিল। এক্ষেত্রে আমি স্পষ্ট ভারতের নাম উল্লেখ করতে চাই। এখনো পর্যন্ত ভারত বাংলাদেশবিরোধী তার মিশন থামায়নি, তারা ষড়যন্ত্রের পথ থেকে ফিরে আসেনি। বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া খুনি শেখ হাসিনা এবং তার সব দোসরকে ভারত নিজের বক্ষে আশ্রয় দিয়েছে। খুনি শেখ হাসিনা যেখানে পালিয়ে থাকবে, সেখান থেকে তাকে ধরে এনে হাজার হাজার মানুষ হত্যার দায়ে বাংলাদেশের জনতার আদালতে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছে। আমরা জোর দাবি জানাই, অনতিবিলম্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে গণহত্যার জন্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে হবে। আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলবো, সারা পৃথিবীতে পাচার করা টাকাগুলোকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে দেশ এবং জনগণের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে।
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খেলাফত মজলিসের জেলা সভাপতি মাওলানা লিয়াকত হুসাইন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী ও মাওলানা আবু সাঈদ নোমান।
শুক্রবার বিকেলের গণসমাবেশে শায়খুল হাদীস আল্লামা মামুনুল হকের আগমনের খবরে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয় এবং হাসান আলী হাই স্কুল মাঠ এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় । সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী এবং ভক্ত-অনুসারীরা গণসমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। বিকেলে আল্লামা মামুনুল হক যখন মঞ্চে এসে উপস্থিত হন, তখন স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে যায় গণসমাবেশস্থল। আর শহরের সড়কগুলোর যানবাহন সব হাসান আলী হাই স্কুল মাঠমুখী হয়ে যায়। এ সময়
সড়কে যানজট নিরসন ও সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক সদস্যকে কাজ করতে গিয়ে গলদঘর্ম হতে হয়।