বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২:০৩

মতলবে অসুস্থ কৃষক নান্নু বেপারীর বড়োভাইয়ের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় বাধা দেয়ার অভিযোগ

রেদওয়ান আহমেদ জাকির
মতলবে অসুস্থ কৃষক নান্নু বেপারীর বড়োভাইয়ের বিরুদ্ধে  চিকিৎসায় বাধা দেয়ার অভিযোগ

মতলব দক্ষিণ উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের নাগদা বেপারী বাড়ির অসুস্থ (পঙ্গু) কৃষক নান্নু বেপারীর চিকিৎসায় বাধা দিচ্ছেন তার আপন বড়োভাই রুহুল আমিন বেপারী। হতদরিদ্র পঙ্গু নান্নু বেপারী নিজের জমি বিক্রি করে চিকিৎসা করতে না পারায় পরিবার হতাশা ও অনিশ্চয়তায় পড়েছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যেও ক্ষোভ বিরাজ করছে ।

সরজমিনে জানা যায়, মতলব দক্ষিণ উপজেলার ৩নং খাদেরগাঁও ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের উত্তর নাগদা বেপারী বাড়ির মৃত আবুল বাসারের অসুস্থ ছেলে নান্নু বেপারী (৫০) দীর্ঘদিন যাবত পায়ের সমস্যায় ভুগছেন। তার পা কেটে ফেলতে হবে। চিকিৎসার অনেক টাকার প্রয়োজন। তাই তার পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করতে চাইলে তার বড়োভাই রুহুল আমিন ৫০ হাজার টাকা দিয়ে এখন বাকি টাকা দিতে গড়িমসি করছেন। তিনি বাকি টাকা দিচ্ছেনও না, অন্যত্র জমি বিক্রি করতে বাধাও দিচ্ছেন। ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা না পেয়ে বাধ্য হয়ে নান্নু বেপারী গ্রামের আব্দুর রশিদ নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১ লাখ টাকা ধার নেন। ওই টাকা নেয়ার পর রুহুল আমিন বেপারী তার ভাই নান্নু বেপারী, বাড়ির আব্দুর রশিদ, ফুফাতো ভাই খোকন ও মালেকের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

এ বিষয়ে এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, ইনফেকশনের কারণে নান্নু বেপারীর পা কেটে ফেলা হয়েছে। এখন সে পঙ্গু হয়ে ঘরে পড়ে আছে। প্রতিদিন তার অনেক টাকার ঔষধ লাগে। রুহুল আমিন যদি তার জায়গা না কিনে তাহলে অন্য কারো কাছে বিক্রি করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তুু রুহুল আমিন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এর আগেও বেশ কয়েকবার সালিস হয়েছে, কিন্তু সে মানে নাই।

অসুস্থ নান্নু বেপারী বলেন, আমার চিকিৎসার জন্য টাকা জোগাড় করতে ভাইকে বলেছি টাকা দিতে। সে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে এখন টালবাহানা করছে। আমি চিকিৎসার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

বড়োভাই রুহুল আমিন বলেন, আমার ফুফাতো ভাই খোকন আমার জায়গা খারিজা করে নিয়েছে। তাই মামলা করেছি ও টাকা দিচ্ছিনা।

খাদেরগাঁও ইউনিয়নের ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ কাউছার মিয়া বলেন, ওনাদের বিষয়টি আমি অবগত আছি। একাধিকবার সালিস হয়েছে। তবে তারা আমার কথা শুনছে না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়