প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২৪, ২১:৪৮
বিএনপি জামায়াত নেতাদের সহযোগিতায়
স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে শাহরাস্তি উপজেলার জীবনযাত্রা
শান্তি ও স্বস্তির জনপদ খ্যাত শাহারাস্তি উপজেলার জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছেন। ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের পর জনমনে যে আতঙ্ক বিরাজ করছিল তা দূর হতে যাচ্ছে। অতীতের ধারাবাহিকতায় উপজেলা বিএনপি ও জামায়াত নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করেছেন উপজেলা প্রশাসন। বর্তমানে সকল ধর্মের মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করতে দেখা গেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য , ব্যাংক বীমায় কর্ম চাঞ্চল্যতা ফিরে পেয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম থেকেই উজেলা ও থানা প্রশাসন অত্যান্ত বিচক্ষণতার সাথে অবস্থান নিয়েছিল। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। পরিবেশ শান্ত রাখতে সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দেয় প্রশাসন। দু একটি অপ্রীতিকর ঘটনা সংগঠিত হলেও যা ছিল বিভিন্ন জায়গার তুলনায় অনেকটাই কম। সরকার পতনের পর পুলিশের কোন কার্যক্রম দেখা যায়নি। শাহরাস্তি থানার প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়। এদিকে থানা ও উপজেলা পরিষদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিএনপি ও জামায়াতের অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পাহারা দিতে দেখা যায়। সরকার পতনের একদিন পর উপজেলা প্রশাসন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে সভা করেন। এতে বিএনপি ও জামায়াতের নেতৃবৃন্দ শাহরাস্তি উপজেলার আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে এক হয়ে কাজ করার ঘোষণা দেন। এদিকে ঐতিহ্যবাহী মেহের কালিবাড়ীর নিরাপত্তায় ছাত্রদল ও শিবির কর্মীরা রাত জেগে পাহারা দেয়। তাছাড়াও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল নেতা-কর্মীরা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে গুজব ছড়িয়ে পড়ায় এলাকা ভিত্তিক নিরাপত্তা জোরদার করে স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এসকল উৎকণ্ঠার মাঝেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আরাফাত অফিসের কার্যক্রম চালিয়ে যান। ১৩ আগষ্ট সকালে শাহরাস্তি থানা পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মহড়া দেয়। তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে আসার বার্তা হিসেবে এ মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে বলে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন জানান। বর্তমানে থান ও উপজেলার দৈনন্দিন কাজকর্ম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কিছু কিছু ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের এখনো অফিস করতে দেখা যায়নি। স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে শাহারাস্তি পৌরসভায়। শাহারাস্তি পৌর মেয়র এখনো পৌরসভায় আসেননি। পুলিশ জানায়, তাদের সকল সদস্য কাজে যোগদান করেছেন। পুলিশকে যাতে কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে না পারেন সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।