রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৪ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

বিরল এক ব্যবসায়ী ফরিদগঞ্জের শাহ আলম

অনলাইন ডেস্ক
বিরল এক ব্যবসায়ী ফরিদগঞ্জের শাহ আলম

চাঁদপুর কণ্ঠে গত সোমবার পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণকারী একটি সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে 'এক টাকা লাভে পণ্য বিক্রিতেই মুনাফা দেখছেন ফরিদগঞ্জের শাহ আলম'। সংবাদটি পড়ে শাহ আলমের মানসিকতাকে স্যালুট জানানো ছাড়া উপায় নেই। ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা হচ্ছেন এই শাহ আলম (৪০)। তিনি গত ১৫ বছর ধরে ৯নং ওয়ার্ডের মধ্য চরকুমিরা গ্রামের চাইলতাতলা বাজারে ছোট একটি মুদি দোকান দিয়ে ব্যবসা করতেন। হঠাৎ করেই ২০২৩ সালে মাহে রমজান উপলক্ষে তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, এলাকার গরিব ও অসহায় মানুষের জন্যে নামমাত্র মূল্যে তিনি নিত্যপণ্য ও ইফতার সামগ্রী বিক্রি করবেন। সেমতে তিনি এক টাকা লাভে পণ্য বিক্রি শুরু করেন। এতে তিনি পেয়ে যান আশাতীত সাফল্য। তার বিক্রি বেড়ে যায় অস্বাভাবিক। পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে তিনি ৪-৫ হাজার কেজি বেশি পণ্য বিক্রি করতে সক্ষম হন। তিনি এই সক্ষমতায় উজ্জীবিত হয়ে চলতি ২০২৪ সালে মাহে রমজানের ১৫ দিন পূর্ব থেকে এক টাকা লাভে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি শুরু করেন। সাড়া পেয়েছেন গত বছরের চেয়ে ব্যাপক। ১০ মার্চ রোববার পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার কেজি মালামাল বিক্রি করেছেন। তার এমন ব্যবসা গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার পেলে প্রবাসীরা মুঠোফোনে দিচ্ছেন অর্ডার। যে অর্ডার পেয়ে তিনি মালামাল প্রবাসীদের বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন।

শাহ আলমের এমন ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডকে মহৎ উদ্যোগ বলে আখ্যায়িত করেছেন এলাকার সুধীবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ। ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের অনেক দেশেই মাহে রমজানের সময়ে হ্রাসকৃত মূল্যে পণ্য বিক্রি হয়। কিন্তু আমাদের দেশে তার উল্টো। আমার পৌর এলাকার শাহ আলম নামে এক ব্যবসায়ী গ্রামের ভেতরে থেকেও এক টাকা লাভে পণ্য বিক্রির উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। আশা করছি তাকে অনুসরণ করে অন্য ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসবেন।

আমাদের প্রত্যাশাও ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়রের মতোই। বিরল মানসিকতার অধিকারী শাহ আলম নিঃসন্দেহে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। তাকে অন্য ব্যবসায়ীরা হুবহু অনুসরণ করার মতো ঔদার্য দেখাতে না পারলেও পবিত্র মাহে রমজানে কম লাভে, ন্যায্য মূল্যে কিংবা বছরের অন্য সময়ের চেয়ে কম মূল্যে বিক্রি করার উদ্যোগ নিতে পারেন। এটা প্রতি বছর রমজান আসলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রবণতার বিপরীতে অনেক বড়ো কাজ যে হতে পারে পারে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়