প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
এমন কমিউনিটি সভা বেশি বেশি দরকার

সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপগুলো সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানোর বিকল্প নেই। এজন্যে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র, ছবি প্রদর্শনী, পথনাটক মঞ্চায়ন, মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, পোস্টার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড লাগানো, উঠোন বৈঠক বা কমিউনিটি সভার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এর মধ্যে উঠোন বৈঠক বা কমিউনিটি সভা এবং পথনাটকের কার্যকারিতা অনেক বেশি পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু পথনাটক করা কিছুটা ব্যয়বহুল ও ঝামেলাপূর্ণ বলে অনেকে সেটা এড়াতে চান। তবে উঠোন বৈঠক/কমিউনিটি সভা আয়োজন তুলনামূলক সহজতর। জেলা তথ্য অফিস সহ কিছু বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) এই সভাগুলোর আয়োজন করছে।
গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, চাঁদপুর জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক ‘শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম’-এর আওতায় ৩১ জানুয়ারি দুপুর ১২টায় মতলব দক্ষিণ উপজেলার চর বাইশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কমিউনিটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা তথ্য অফিসারের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সভায় ভিডিওকলে সংযুক্ত থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রচার ও সমন্বয়) হাছিনা আক্তার। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চর বাইশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুল ইসলাম।
সভায় ডেঙ্গু প্রতিরোধ, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, শিশুকে মাতৃদুগ্ধ দান, শিশু ও নারীর অধিকার, শিশুর যথাযথ বিকাশ, অটিজম ও শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য, জন্ম নিবন্ধন, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসমূহ, পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধ, পরিবেশ সুরক্ষা ও দুর্যোগকালীন নারী ও শিশুর বিকাশজনিত সচেতনতা, জেন্ডার সমতা, নিরাপদ মাতৃত্ব, বাল্যবিবাহ ও ইভটিজিং প্রতিরোধ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি বিষয়ে উদ্বুদ্ধকরণ বক্তব্য প্রদান করা হয়। সভাটিতে প্রায় শতাধিক নারী, শিশু, কিশোর-কিশোরী ও পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদটি পড়ে কারো ধারণা করতে অসুবিধা হয় না যে, জেলা তথ্য অফিসের এই কমিউনিটি সভাগুলো সর্বস্তরের মানুষকে বিশেষ করে গ্রামীণ জনপদের মানুষকে সচেতন করতে কতোটা কার্যকর। কিন্তু সভাগুলো হয় কালেভদ্রে, অনিয়মিত। এক্ষেত্রে হয়তো নির্দিষ্ট প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দের স্বল্পতা আছে, অথবা জেলা তথ্য অফিসের ব্যস্ততা রয়েছে কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফাঁকিবাজির মানসিকতা রয়েছে। কারণ যেটাই হোক, এই কমিউনিটি সভাগুলোর সংখ্যাবৃদ্ধির অনিবার্যতা রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিষয়টিতে গুরুত্বারোপ করা উচিত। কেননা এই সভাগুলো অনেক সুফল দিতে সক্ষম বলে আমাদের বিশ্বাস।