রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৪ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

তবুও তো স্মরণ করা হলো তাঁদের

অনলাইন ডেস্ক
তবুও তো স্মরণ করা হলো তাঁদের

চাঁদপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডঃ মিজানুর রহমান এবং জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও চাঁদপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি কাজী গোলাম মোস্তফার মৃত্যুতে চাঁদপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ জানুয়ারি শনিবার বাদ আসর জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত এ স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আলহাজ সফিউদ্দিন আহমেদ। চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ সলিম উল্লাহ সেলিমের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুনির চৌধুরীর পরিচালনায় প্রয়াত দুনেতার প্রতি স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাহাবুব আনোয়ার বাবলু, জসিম উদ্দিন খান বাবুল, খলিলুর রহমান গাজী, যুগ্ম সম্পাদক আক্তার হোসেন মাঝি, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল কাদের বেপারী, জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডঃ কামাল উদ্দিন, সদর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডঃ জাকির হোসেন ফয়সাল, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফ উদ্দিন পলাশ, জেলা যুবদলের সভাপতি মানিকুর রহমান মানিক ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন পাটওয়ারী প্রমুখ। সভায় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা বলেন, শহিদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক হিসেবে বিএনপির রাজনীতিতে অ্যাডঃ মিজানুর রহমান এবং কাজী গোলাম মোস্তফার অবদান রয়েছে। তারা অত্যন্ত বিনয়ী রাজনীতিবিদ ছিলেন। এতো অল্প সময়ে তারা আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যাবেন সেটা কখনো ভাবিনি। জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের তাৎক্ষণিক নির্দেশে তাদের জন্যে আমরা এই স্মরণ সভার আয়োজন করেছি। আল্লাহ তাদের বেহেশত নসিব করুন--এই দোয়া করছি।

গত ২১ জানুয়ারি রাত ১০টায় অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমানের মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে কাজী গোলাম মোস্তফা মৃত্যুবরণ করায় শুধু বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাঝে নয়, চাঁদপুরের সকল দলমতের মানুষের মাঝেও গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে। যার ফলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভিন্ন দল-মতের অনেক মানুষ তাঁদের জানাজা ও দাফনে অংশ নেন। কিন্তু গণমাধ্যমে শোকবার্তা পাঠিয়ে রাজনৈতিক শিষ্টাচারের পরিচয় দেবার ঔদার্য প্রদর্শনের সুযোগ নেয়নি, যেটা চাঁদপুরে অতীত ছিলো না।

অ্যাডঃ মিজান ও কাজী গোলাম মোস্তফা দলমত নির্বিশেষে চাঁদপুরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে এতো বেশি পরিচিত ছিলেন যে, তাদের স্মরণে নির্দলীয়ভাবে কিছু করার ফুরসত ছিলো, কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূলে নেই--নিশ্চয়ই এমনটি বলার সুযোগ নেবেন অনেকেই। এটা যে আমাদের স্বাভাবিক অজুহাত-প্রবণতার নিদর্শন, সেটা কি আর খোলসা করে বলতে হয়? আমরা মৃত ব্যক্তির লাশ সামনে রেখে জানাজার নামাজের আগে যা বলার তা সংক্ষিপ্তভাবে বলে ফেলি এবং তারপর ক্রমশ ভুলে যাই। বড়জোর ছোট-বড় কুলখানি/চেহলাম শেষ করতে পারলেই হলো, তারপর আমরা সব দায়িত্ব শেষ করে ফেলেছি বলে ধরে নেই। এটা সব মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে করা যে ঠিক নয়, সেটা উপলব্ধির ক্ষমতাও আমাদের ক্রমশ লোপ পাচ্ছে। এটা দুঃখজনক।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়