রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৪ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

এসবের পেছনে কি উদ্দেশ্যমূলক প্রশ্রয় থাকে না?
অনলাইন ডেস্ক

একসময় শিক্ষকতা ছিলো ব্রত, আর এখন পেশা। সময়ের চাহিদা পূরণে শিক্ষকতাকে পেশা করা ছাড়া উপায় ছিলো না। তবে শিক্ষকতা মহান পেশা, যেহেতু তারা কার্যত মানুষ গড়ার কারিগর। আমাদের দেশে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক নিয়োগে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দৃশ্যমান স্বচ্ছতা আসলেও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ করে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো কোনোটাতে দৃশ্যমান অস্বচ্ছতাণ্ডঅনিয়ম প্রকটভাবে দেখা যাচ্ছে প্রায়শ। যা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় দীর্ঘ কিংবা নাতিদীর্ঘ প্রতিবেদন। এমন একটি প্রতিবেদন গতকাল প্রকাশিত হয়েছে চাঁদপুর কণ্ঠে। প্রতিবেদনটির শিরোনাম হয়েছে ‘দরবেশগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত চায় কমিটির একাংশ ॥ জেলা শিক্ষা অফিসার স্থগিত করেছেন সে পরীক্ষা’।

পাপ্পু মাহমুদ কর্তৃক লিখিত প্রতিবেদনটির সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে : কচুয়া উপজেলার দরবেশগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বারবার লিখিত আবেদন করেছে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের একাংশ। সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতা, অস্বচ্ছতা ও স্বজনপ্রীতির আশঙ্কায় পরীক্ষা স্থগিত চান বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের একাংশ। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও বিদ্যালয়টি নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য দেখা যায়। গত ৩ ডিসেম্বর ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য গাজী মাহবুব উল্লাহ, অভিভাবক সদস্য গাজী মোঃ আলমগীর হোসেন ও সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য ফারজানা আক্তার নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেন।

জানা যায়, গত ১৬ জুন দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় কচুয়া উপজেলার দরবেশগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে ৬ জন প্রধান শিক্ষক পদে ও ১০ জন সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে আবেদন করেন।

অভিযোগ উঠেছে, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির একাংশের সাথে কোনো রকম আলোচনা ছাড়াই গোপনে নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করতে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। আগামী ৬ ডিসেম্বর কচুয়া শহীদ স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। গোপনে এই নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়ার আশঙ্কায় উপরোল্লিখিতরা নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত চান। পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজনের অনুরোধ জানান তারা। এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, বিধি মোতাবেক অনিবার্য কারণবশত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

আমরা প্রথমেই অনিয়মের আশঙ্কাযুক্ত নিয়োগ পরীক্ষাটি স্থগিত করার জন্যে জেলা শিক্ষা অফিসারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, পরীক্ষাটি স্থগিতেই খুঁজে পাওয়া যাবে না টেকসই সমাধান। প্রায় পাঁচ মাস আগে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দরবেশগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বিলম্বিত হলো কেনো, সেটা তদন্ত করে দেখা দরকার। এ ক্ষেত্রে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের তাগিদণ্ডতদারকির ঘাটতি ছিলো কিনা, আর বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের উদ্দেশ্যমূলক প্রশ্রয়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কারসাজি ছিলো কিনা সেটা এমন তদন্তের মাধ্যমে বের করার অনিবার্যতা রয়েছে। আশা করি জেলা প্রশাসনের শিক্ষা বিভাগ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কিংবা জেলা শিক্ষা অফিসার এমন তদন্তের আয়োজন করবেন। এতে দরবেশগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় শুধু উপকৃত হবে না, নিয়োগ সমস্যা কবলিত অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও উপকৃত হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়