প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
জালের পরিমাপ ও মূল্যের কৌতূহল মিটতে পারে কীভাবে?

‘নীলকমল নৌ-ফাঁড়ির অভিযানে ২০ লাখ মিটার জালসহ ৬ জেলে আটক’। এটি চাঁদপুর কণ্ঠে ১০ মার্চ শুক্রবার প্রকাশিত একটি সংবাদ শিরোনাম। এ সংবাদটিতে লিখা হয়েছে, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় সরকার ঘোষিত চলমান অভিযানে হাইমচরের মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা নিধন করার অপরাধে ২০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দসহ ৬ জেলেকে আটক করেছে নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। এছাড়া এ অভিযানে ৪০০ কেজি জাটকা উদ্ধার করা হয়। হাইমচর উপজেলার নৌ-সীমানায় গত ১ মার্চ থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত একাধিক অভিযানে জালসহ জেলেদের আটক করা হয়। এ সময় নীলকমল ফাঁড়ির নৌপুলিশসহ মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আটককৃত জেলেদের নিয়মিত মামলায় জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ হোসেন সর্দার জানান, অন্য বছরের তুলনায় এবারের অভিযান ভালো হচ্ছে। আমাদের তৎপরতার কারণে জেলেরা নদীতে নামতে সাহস পাচ্ছে না।
চাঁদপুর কণ্ঠ ছাড়াও দেশের অন্যান্য গণমাধ্যমে অনুরূপ ক’টি সংবাদ হচ্ছে এমন : পদ্মা নদীতে ১৭ জেলে আটক, চার লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ (ভোরের কাগজ), চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে কোস্ট গার্ড কর্তৃক সাড়ে ১৫ লাখ মিটার ৫ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকার কারেন্ট জাল জব্দ (আরটিভি অনলাইন), নোয়াখালীর হাতিয়ায় কোস্ট গার্ড কর্তৃক সাড়ে সাত কোটি টাকা মূল্যের ২২ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ (জাগোনিউজ২৪.কম), ভোলায় কোস্ট গার্ড কর্তৃক ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা মূল্যের ৪ লাখ ৫৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ (দৈনিক জনকণ্ঠ) ইত্যাদি।
যে কোনো গণমাধ্যমের পাঠক কোস্ট গার্ড ও নৌপুলিশ কর্তৃক বিভিন্ন নদী থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ জাল আটকের সংবাদ পড়ে সরলভাবে বাহবা দেয়। সাথে সাথে গরল মানসিকতার কোনো কোনো পাঠক এমন প্রশ্নও তোলে যে, জব্দকৃত জালের পরিমাপ ও মূল্য তারা কোন্ মাপকাঠিতে নির্ধারণ করে, সেটা কতোটুকু গ্রহণযোগ্য। তারা কি নিজেদের সাফল্য তুলে ধরে সস্তা বাহবা পেতে নিতান্তই আন্দাজ-অনুমান নির্ভর হয়ে জালের পরিমাপ ও মূল্য নির্ধারণ করে কিনা সে বিষয়ে খতিয়ে দেখার অবকাশ রয়েছে। এ ব্যাপারে কোস্ট গার্ড/ নৌপুলিশের জনসংযোগ বিভাগের বিবৃতি প্রদান বাঞ্ছনীয় বলে আমরা মনে করি।