সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০

সচিবের আগমন আগাম জানান দিতে বাধা কোথায়?

সচিবের আগমন আগাম জানান দিতে বাধা কোথায়?
অনলাইন ডেস্ক

গত ২২ অক্টোবর শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে চাঁদপুরে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা এসেছেন। তাঁর নাম মেজবাহ উদ্দিন। তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব। তিনি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আওতায় চাঁদপুর জেলায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। তিনি এ সভায় অংশগ্রহণ করা ছাড়াও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন এবং বৃক্ষরোপণ করেন।

এই সচিব মহোদয়ের চাঁদপুরে আগমনের বিষয়টি চাঁদপুর প্রেসক্লাবসহ স্থানীয় পত্রিকাগুলো জানতো বলে মনে হয় না। কেননা কোনো সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ কিংবা কোনো সম্পাদক তাঁর সফরকালে উপস্থিত ছিলেন বলে চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায় নি। তিনি চাঁদপুর শহর থেকে ৭-৮ কিলোমিটার দূরবর্তী যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজিত কর্মসূচিতে অংশ নেন। এই অধিদপ্তরের চাঁদপুর জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা বা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে যুব ও ক্রীড়া সচিবের সফরসূচি চাঁদপুর কণ্ঠ, প্রেসক্লাব বা অন্য কোনো সাংবাদিক সংগঠনকে নির্দিষ্ট বাহক যথাসময়ে পৌঁছিয়েছেন, মেইলে পাঠিয়েছেন কিংবা দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ফোন করেছেন বলে মনে হয় না।

সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা হচ্ছেন সচিব। অতীতে চাঁদপুর জেলায় কোনো সচিব কেন, অতিরিক্ত সচিবের আগমন উপলক্ষেই তোড়জোড় দেখা যেতো। সচিবের সফরসূচি বাহকের মাধ্যমে পূর্বদিন প্রেসক্লাবসহ পত্রিকা অফিসগুলোতে পৌঁছিয়ে দেয়া হতো, এনডিসি কর্তৃক ফোন দেয়া হতো। নিকট অতীতে এতোটা করা না হলেও ই-মেইলে সফরসূচি, কর্মসূচি পাঠানো হতো। এখন মন্ত্রীদের আগমনে তাঁদের সফরসূচি তাঁদের দপ্তরের কর্মকর্তা ই-মেইলে পাঠান, জেলা প্রশাসনে প্রেরিত এ সংক্রান্ত ই-মেইল নির্দিষ্ট কর্মচারী ফরোয়ার্ড করেন কিংবা প্রিন্ট কপি বাহক মারফত প্রেসক্লাব ও পত্রিকা অফিসসহ গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট পাঠান। মন্ত্রী ছাড়া এখন বড় কর্মকর্তাদের সফরসূচি অনুষ্ঠান আয়োজকদের নিমন্ত্রণপত্র ছাড়া জানার সুযোগ সীমিত হয়ে গেছে।

বলা দরকার, এক সময় চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি চাঁদপুর আসলে কতো কর্মসূচিই পালন করা হতো এবং গণমাধ্যমকে ব্যাপক জানান দেয়া হতো। এখন আইজিপি ছাড়া অন্য কর্মকর্তা চাঁদপুরে আসলে পূর্বের মতো কর্মসূচি পালন করা হলেও আগাম জানান দেয়াটা পূর্বানুরূপ নেই। কেনো এমনটা হচ্ছে সেটা ব্যাখ্যা দেয়ার তাগিদও এখন কেউ অনুধাবন করেন বলে মনে হয় না।

এবার আসি মূল কথায়। চাঁদপুরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব আসছেন সেটা আগাম জানতে পারলে চাঁদপুর জেলাকেন্দ্রিক এ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম, সম্পাদিত উন্নয়ন কার্মকাণ্ড সম্পর্কে ব্যাপকভাবে জানা যেতো এবং বিদ্যমান সমস্যা ও সম্ভাবনা সম্পর্কে জানান দেয়া যেতো। কিন্তু সেটি আর হলো কই। সচিব মহোদয় ছুটির দিনে কষ্ট করে আসলেন ঠিকই, কিন্তু তাঁর আসাটা গণমাধ্যমের নিকট খুবই কম জানা থাকায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মসূচি কম-বেশি সফল হলেও জেলাবাসীর প্রত্যাশা ও দাবি জানান দেয়া যায় নি। শুধু বলবো, এটা দুঃখজনক ও অসঙ্গত। কথা হলো, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর জেলা শহর থেকে দূরে সরে গিয়ে কি গণমাধ্যমসহ অন্যদেরও দূরে সরিয়ে রাখবে?

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়