প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২২, ০০:০০
চাইনিজ রেস্তোরাঁ ও কমিউনিটি সেন্টারের ব্যবসা
চাঁদপুরের সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশেষ করে বিগত এক দশকে চাইনিজ রেস্তোরাঁ ও কমিউনিটি সেন্টার প্রতিষ্ঠায় ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। পুরানো প্রতিষ্ঠান হিসেবে চাঁদপুর ক্লাব ও পৌর পাঠাগারের আধুনিকায়ন না হওয়ায় বেসরকারি উদ্যোক্তারা কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে চাইনিজ রেস্তোরাঁ ও কমিউনিটি সেন্টার প্রতিষ্ঠায়। প্রথমাবস্থায় ২-১ জন উদ্যোক্তা কমিউনিটি সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে উপর্যুপরি লোকসান দিয়ে ব্যবসা গুটিয়ে নেয়। এতে অন্য উদ্যোক্তারা হতোদ্যম না হয়ে লোকসান খাওয়া উদ্যোক্তাদের ভুল-ত্রুটি বিশ্লেষণ করে সেগুলো নিরসনপূর্বক ভোক্তাদের চাহিদার অনুকূলে প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ নেয়। যেমন : শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ, হাই কমোডের টয়লেট, পর্যাপ্ত বেসিন, আধুনিক আসবাবপত্র ও তৈজসপত্র এবং উন্নত সেবা।
|আরো খবর
শুধু কমিউনিটি সেন্টার দিলে প্রতিদিন ব্যবসা করা যায় না বলে চাঁদপুরের উদ্যোক্তারা চাইনিজ রেস্তোরাঁ সংযোজন করে সাফল্য খুঁজে পায়। বিয়ে, বিভিন্ন ধরনের সম্মেলন, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ইত্যাদি আয়োজনে চাইনিজ রেস্তোরাঁ কাম কমিউনিটি সেন্টার ভোক্তাদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এর ফলে পছন্দের দিনগুলোতে (শুক্র/শনিবার অথবা অন্যান্য ছুটির দিনে) এগুলো আগেভাগে বুকিং না দিলে তাৎক্ষণিক ভাড়া পাওয়া ক্রমশ কঠিন বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এজন্যে তদবিরেও কারো তকদির ফিরে না।
করোনাকালীন চাঁদপুরের চাইনিজ রেস্তোরাঁ ও কমিউনিটি সেন্টারগুলো অনেক লোকসান গুণলেও সাম্প্রতিক ক’মাসে ব্যাপক জমজমাট অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে ভোক্তাদের প্রতি সেবার মান হ্রাস পেয়েছে বলে প্রায়শই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। যেমন : সার্ভিসিং না করায় এসি, টয়লেট ও বেসিন ঠিকমত কাজ করে না। এছাড়া ভোক্তাদের প্রতি মালিক পক্ষের রূঢ় আচরণ, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ ও প্রতারণার ঘটনাও ঘটে।
বলা দরকার ব্যস্ত হাইওয়ে রেস্তোরাঁগুলোতে সার্বক্ষণিক এক/একাধিক সুইপার নিয়োজিত থাকে, যারা টয়লেট ও বেসিনের সমস্যাগুলা তাৎক্ষণিক সমাধান করে। এমনটি চাহিদাবহুল চাইনিজ রেস্তোরাঁ ও কমিউনিটি সেন্টারগুলোতেও দেখা যায়। কিন্তু চাঁদপুরে দেখা যায় না বললেই চলে। যার ফলে বিয়ে/বড় ধরনের সম্মেলন চলাকালে চাঁদপুরের কোনো কোনো চাইনিজ রেস্তোরাঁ ও কমিউনিটি সেন্টারে টয়লেট ও বেসিন ব্যবহার করতে গিয়ে ভোক্তারা অরুচিকর অবস্থার শিকার হন। কর্মচারীনির্ভর মালিকপক্ষ এমনটি দেখেও না দেখার ভান করে। এটি দুঃখজনক। এ ব্যাপারে পৌরসভা, স্বাস্থ্য বিভাগ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কিংবা অন্য কারো কোনো না কোনো ব্যবস্থাগ্রহণ আবশ্যক বলে আমরা মনে করি।