শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২১, ১১:০৭

মৌসুমী ফল খাওয়া জরুরি কেন?

অনলাইন ডেস্ক
মৌসুমী ফল খাওয়া জরুরি কেন?

জ্যৈষ্ঠ মাস চলে গেলেও তার মধুরতার রেশ এখনও কাটেনি। গ্রীষ্মের রসালো সব ফল এখনও বাজার দখল করে আছে। কাঁঠাল, লিচু, আম, জাম, তরমুজ, জামরুল, লটকন, ডেউয়া, গাব, আতাফল, কাউফল, আনারস ইত্যাদি ফলের দেখা মিলছে বাজারে। মৌসুমী এসব ফল সুস্বাদু তো বটেই, পুষ্টিগুণেও অনন্য। ভ্যাপসা গরমে একঘেয়েমি বা ক্লান্তি কাটাতে এসব ফলের জুড়ি মেলা ভার। তৃপ্ত করার পাশাপাশি শক্তি জোগাতেও কাজ করে এসব ফল। মৌসুমী ফলে মৌসুমী রোগ-বালাইয়ের প্রতিষেধক থাকে প্রাকৃতিকভাবেই। আপনি যদি মৌসুমী ফল খান তবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

দেশি মৌসুমী ফল স্বাভাবিকভাবেই পেকে থাকে, এসব ফল জোর করে পাকাতে হয় না। প্রয়োজন পড়ে না দীর্ঘদিন সংরক্ষণেরও। তাই এতে ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার হয় না বললেই চলে। স্বাদ ও গন্ধ অটুট থাকে, ফল থাকে সতেজ। এসব ফল হজমেও কোনোরকম সমস্যা সৃষ্টি করে না।

বিভিন্ন ক্ষতিকর কেমিক্যালের ভয়ে যারা ফল খেতে চান না, তাদের জন্য উপকারী হতে পারে মৌসুমী ফল। সেজন্য ফলের মৌসুম শুরুর অপেক্ষা করতে হয়। আগেভাগে পাকানো ফল ক্ষতিকর হতে পারে। তাই চেষ্টা করুন গাছপাকা ফল খাওয়ার। আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খেতে হবে বেশি বেশি। কারণ ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ইত্যাদি অসুখ দূর করতে কাজ করে এসব ফল। তাই মৌসুমী যেকোনো ফল প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় যুক্ত করুন।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ

কিছু ভিটামিন, মিনারেল ও এনজাইম হলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর ফ্রি র‌্যাডিক্যালের সঙ্গে লড়াই করে। যে কারণে শরীরের কোষগুলো ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়। সেইসঙ্গে প্রতিরোধ করে জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি। প্রধান অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলো হলো বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, সি, ই, লাইকোপেন, লুটেইন সেলেনিয়াম ইত্যাদি।

খরচ বাঁচায়

স্বাস্থ্যের জন্য তো ভালোই, খরচ কমানোর ক্ষেত্রেও মৌসুমী ফল কার্যকরী। কারণ এসব ফলের মূল্য তুলনামূলক কম। এককেজি বিদেশি ফল কেনার টাকায় আপনি অনায়াসে কয়েক কেজি দেশি ফল কিনতে পারবেন। দেশি ফলে পুষ্টিও পাবেন বেশি। দামে সস্তা দেখে অনেকে ভাবেন, এগুলো উপকারী নয়। কিন্তু সত্যিটা হলো, দেশি ফলে স্বাদ ও পুষ্টি দুটোই বেশি পাবেন। ফলের দাম বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নির্ভর করে এটি কতটা সহজলভ্য তার ওপর। তাই যেসব ফল আমদানিতে খরচ বেশি হয়, সেসব ফলের দামও বেশি। আবার যেসব ফল আমাদের দেশে হয় এবং পর্যাপ্ত থাকে, সেগুলোর দাম থাকে হাতের নাগালে।

বেশি পুষ্টি

ধরুন, আপনি একটি আমলকি খেলেন, তাতে কিন্তু একটি কমলার থেকে ২০ গুণ ও আপেলের থেকে ১২০ গুণ বেশি ভিটামিন সি পাবেন। দেশি ফলগুলোতে পাবেন এমনই সব উপকারিতা। তাই বিদেশি ফলের বদলে পাতে রাখুন দেশি ফলগুলো।

আমের গুণ

আমের রয়েছে অসংখ্য পুষ্টিগুণ। এটি রোগ প্রতিরোধ বাড়ানো থেকে শুরু করে ক্যান্সার পর্যন্ত প্রতিরোধ করতে পারে। সুমিষ্ট এই ফলে আছে কয়েক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ব্রেস্ট ক্যান্সার, লিউকেমিয়া, প্রোস্টেট ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। তাই আমের মৌসুমে প্রতিদিন আম খান।

কাঁঠালের উপকারিতা

স্বাদ ও সুগন্ধের জন্য পরিচিত কাঁঠাল। এটি আমাদের জাতীয় ফল। এটি সবচেয়ে পুষ্টিকর ফলগুলোর একটি। কাঁঠাল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তো বাড়েই, সেইসঙ্গে শরীর পায় পর্যাপ্ত পুষ্টি। বিদেশি যেকোনো ফলের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি পুষ্টি পাবেন কাঁঠাল খেলে। প্রতিদিন ৭-৮ কোষ কাঁঠাল খেলে সারা বছরই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকবে অটুট। সেইসঙ্গে পাবেন উজ্জ্বল ত্বক।

জাম খাবেন যে কারণে

এই মৌসুমের আরেক উপকারী ফল হলো জাম। এটি যেমন রসালো, তেমনই পুষ্টিকর একটি ফল। শুধু জাম নয়, জামের বিচিও ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারী। জামের বিচি দিয়ে ডায়াবেটিসের ওষুধও তৈরি করা হয়। জাম খেলে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

আম, কাঁঠাল কিংবা জামই নয়, খেতে হবে মৌসুমী সব ধরনের ফল। পুষ্টিবিদদের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ২০০ গ্রামের মতো ফল খাওয়া প্রয়োজন। বিদেশি ফলের মাধ্যমে চাহিদা মেটাতে গেলে তা বেশি খরচের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এর বদলে খেতে পারেন মৌসুমী ফল। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় ঘাটতি পূরণ হবে, সুস্থ থাকা হবে সহজ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়