ফরিদগঞ্জে বিপদ তারিণী পূজা ও মৌন সমাবেশ

দেশব্যাপী সনাতন ধর্মের মন্দিরসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন স্থাপনা ও ব্যক্তি পর্যায়ে হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের আহূত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদগঞ্জে বিপদ তারিণী পূজা অনুষ্ঠান ও মৌন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৮ জুন ২০২৫) দুপুরে উপজেলা সদরস্থ শ্রীশ্রী লক্ষ্মীনারায়ণ জিউর মন্দিরে উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের আয়োজনে ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সহযোগিতায় দিনব্যাপী বিপদ তারিণী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। শ্রীশ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর মন্দির কমিটির সহযোগিতায় পূজাশেষে অনুষ্ঠিত মৌন সমাবেশে উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক নারায়ণ রবিদাসের পরিচালনায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ফরিদগঞ্জ উপজেলা শাখার আহ্বায়ক লিটন কুমার দাস, সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তী ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তপন মজুমদার বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, এই বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্যে বিপদ তারিণী পূজার আয়োজন এবং ঘৃণিত কাজের প্রতিবাদে মৌন সমাবেশ করেছি। আমরা আর কোনো উগ্রবাদ চাই না, উস্কে দেয়া মব সন্ত্রাস বন্ধ চাই এবং অবিলম্বে ঢাকায় গুঁড়িয়ে দেয়া মন্দির পুনঃস্থাপন করার অনুরোধ জানাচ্ছি। গণঅভ্যুত্থানের পর সকলেই একটি বৈষম্যমুক্ত সমাজ চেয়েছিলাম। কিন্তু এখনো সেই বৈষম্যই রয়ে গেছে, বরং কখনো কখনো তা পূর্বের চেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে। সত্যতা যাচাই না করেই ধর্ম অবমাননার মতো তকমা ব্যবহার করে মব সন্ত্রাস হচ্ছে। ঢাকার খিলক্ষেতে সরকারের লোকজনই মন্দির গুঁড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিমা পর্যন্ত বিসর্জন দিতে দেয় নি। যেই রেলের জমি উদ্ধারে এই আয়োজন সেই রেলের জমি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের থেকেই নেয়া। সারা দেশে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজিত হলেও ফরিদগঞ্জে আমরা ভিন্ন ধরনের আয়োজন করেছি। তাই এই পূজা অনুষ্ঠান ও মৌন সমাবেশ।

আলোচনাশেষে সনাতন ধর্মাবলম্বী তথা সারা বিশ্বের সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের মঙ্গল এবং বিশ্ব শান্তির জন্যে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

ছবির ক্যাপসন দেশব্যাপী সনাতন ধর্মের মন্দিরসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন স্থাপনা ও ব্যক্তি পর্যায়ে হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আহূত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদগঞ্জে বিপদ তারিনী পূজা অনুষ্ঠান শেষে মৌন সমাবেশ।