প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:৪০
পুরাণবাজার লোকনাথ মন্দিরে ঘৃত প্রদীপ প্রজ্জ্বলন
৯ নভেম্বর শনিবার লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার রাখের উপবাস উপলক্ষে ঘৃত প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়। চাঁদপুর শহরের পুরাণ বাজার লোকনাথ মন্দিরের আয়োজনে ২৮তম ঘৃত প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়। একই সাথে
|আরো খবর
নতুন বাজারস্থ পালপাড়া শীতলা মায়ের মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দিরে সন্ধ্যায় ঘৃত প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়।
সকাল থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ ভক্তরা দিনভর উপবাসব্রত পালন করে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেন । সন্ধ্যার পর ভক্তরা মন্দিরে ধূপতি, ধূপ, প্রদীপ, ঘৃত, আগরবাতি, মোমবাতিসহ আনুষঙ্গিক পূজার সরঞ্জামাদি নিয়ে সমবেত হয়। পরে লোকনাথ মন্দিরে পুরোহিত কেদারনাথ চক্রবর্তী ও টুটুল চক্রবর্তীর সাথে মন্ত্রপাঠ করে নিজেকে পরিশুদ্ধ করে নেয়। বিগত বছরের ন্যায় এ বছরও পুরাণবাজার হরিসভা মন্দির কমপ্লেক্স অভ্যন্তরে স্থাপিত লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার মন্দিরে হাজারো ভক্তের সমাগম ঘটে। ভক্তরা উপবাসব্রত পালন করে ঘৃত প্রদীপ প্রজ্জ্বলনে অংশগ্রহণ করেন। ঘৃত প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে লোকনাথ মন্দিরের সভাপতি প্রমোদ দাস ও সাধারণ সম্পাদক দীপক রায় ঘৃত প্রদীপ প্রজ্জ্বলনে যেসব ভক্ত অংশ গ্রহণ করে সে সকল ভক্তকে শুভেচ্ছা জানান। উপবাসী ভক্তদের জন্যে পুরাণবাজার হরিসভা মন্দির কমপ্লেক্স অভ্যন্তরে স্থাপিত লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার মন্দির কর্তৃপক্ষ এক সিদ্ধ প্রসাদের ব্যবস্থা করে।ঘৃত প্রদীপ প্রজ্জ্বলন শেষে ভক্তরা মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেন।
পূর্বের দিন ৮ নভেম্বর ঠাকুরের অধিবাস ও মাঙ্গলিক ঘট স্থাপন করা হয়। রাতে বাবার ফল ও মিশ্রি ভোগ নিবেদন করা হয়।
৯ নভেম্বর সকালে বাবার মিশ্রি ভোগ নিবেদন করা হয়। পরে বাল্যভোগ নিবেদন করা হয়। সকাল ১০টায় বাবার ষোড়শ পূজা, দুপুরে রাজভোগ নিবেদন ও দুপুর ২টায় প্রসাদ বিতরণ করা হয়। সন্ধ্যা ৬টায় লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার প্রদীপ দানের মহাপূজা ও মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়।