সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২১, ১৩:৪৭

বেড়েই চলছে সাচারের প্যারা সন্দেশের কদর

মোহাম্মদ মহিউদ্দিন
বেড়েই চলছে সাচারের প্যারা সন্দেশের কদর

প্যারা সন্দেশের নাম শুনলে অনেকেরই জিভে পানি চলে আসে। প্যাড়া সন্দেশ মানেই চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সাচারের প্যারা সন্দেশ। আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যেতে মিষ্টি দ্রব্য নিয়ে যাওয়া বাঙালি জাতির কৃষ্টি-সংস্কৃতির এক অপরিহার্য অঙ্গ হিসেবে স্বীকৃত। এ মিষ্টি জাতীয় দ্রব্যাদির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সাচারের প্যারা সন্দেশও। যা স্বাদে ও গুণে অতুলনীয়। দেশের অন্যতম প্রাচীন জনপদে গড়ে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী সাচার বাজার। এ বাজারের মিষ্টি দোকানসমূহে প্যাঁড়া সন্দেশ বিক্রি এখন মহোৎসবে পরিণত হয়েছে। খাঁটি দুধের সুস্বাদু এ মিষ্টান্নের প্যাড়ার খ্যাতি দেশের গন্ডি পেরিয়ে এখন বহির্বিশ্বে। ইতিমধ্যে এ প্যাড়া সন্দেশ চাঁদপুর জেলার ব্র্যান্ডিং হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

সরেজমিনে গেলে সাচার বাজারের সন্দেশের জন্য বিখ্যাত রাজলক্ষ্মী সুইটসের মালিক সঞ্জয় কুমার দে জানান, সাচারের এ প্যাড়া সন্দেশ ‘ক্ষির সন্দেশ’ নামেও পরিচিত। কেননা দুধ জ্বাল দিয়ে ক্ষিরে পরিণত করার পর প্যাঁড়া সন্দেশ তৈরি হয়। এক কেজি প্যাঁড়া সন্দেশ তৈরিতে ৭ কেজি দুধ ও একশ গ্রাম চিনির প্রয়োজন হয়। গত ২০-২৫ বছর ধরে সাচারের খাঁটি দুধের প্যাড়ার চাহিদা দেশ ছাড়িয়ে এখন জাপান, মালায়শিয়া, সিঙ্গাপুর, আমেরিকা ও সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে।

তিনি আরো জানান, প্যারা সন্দেশের জন্য কেবল কচুয়ার লোকজনই নয় দূর-দূরান্ত থেকেও অনেক লোকজন সাচার বাজারে ছুটে আসেন। অনেক সময়ই ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রিম অর্ডার নিয়ে সন্দেশ তৈরি করে দেওয়া হয়। ব্যাপকভাবে বাজারজাত করার লক্ষ্যে ৫শ টাকা কেজি দরে ওই প্যাঁড়া সন্দেশ বিক্রি হয়। করোনাকালে পূর্বের ন্যায় দুধ না পাওয়ায় সন্দেশ তৈরি ব্যায় বেড়ে যাওয়ায় এখন তেমন একটা লাভের মুখ দেখছিনা। তারপরও আদি পুরুষদের এ সন্দেশ ব্যবসায় জাতে লুপ্ত হয়ে না যায়, তাই ধরে রেখেছি। সন্দেশ ক্রেতা শাহপরান জানান, প্যাড়ার নাম বলতেই সবার আগে চলে আসে কচুয়ার সাচারের প্যাড়া সন্দেশের নাম। কারণ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্যাড়া তৈরি হলেও কচুয়ার সাচারের প্যাড়ার তুলনা নেই। এর স্বাদ আলাদা। সাচার বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারের আনাচে কানাচে মিষ্টির অধিকাংশ দোকানগুলোতে নেই কোন চাকচিক্য। বেশিরভাগ দোকানে বসার ভাল ব্যবস্থাও নেই। তবে ২-১ টি দোকানে বসে খাওয়ার জন্য আছে ৮-১০ টি আসন। বাহিরের চাকচিক্যের চেয়ে স্বাদ ও মান দোকানিদের কাছে বেশি গুরুত্বপ‚র্ণ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়