প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২১, ১১:৫৭
আমাদের সময়ে যোগ দিলেন মিজান মালিক
দৈনিক যুগান্তরের এডিটর (ইনভেস্টিগেশন) ও বিশেষ প্রতিনিধি মিজান মালিক দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার উপ-সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেছেন। ৪ আগস্ট মঙ্গলবার তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন। এ উপলক্ষে আমাদের সময় কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাকে স্বাগত জানায় আমাদের সময় পরিবার।
|আরো খবর
মিজান মালিককে স্বাগত জানিয়ে আমাদের সময়ের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোহাম্মদ গোলাম সারওয়ার বলেন, ‘সাংবাদিকতা জগতে তাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার দরকার নেই। তিনি তার নিজের মহিমায় উজ্জ্বল। তার রয়েছে দীর্ঘ সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা। তিনি আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি আমাদের সময়কে আরও উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’
অনুষ্ঠানে আমাদের সময় পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, উপসম্পাদক দীপঙ্কর লাহিড়ী, প্রধান প্রতিবেদক শাহজাহান আকন্দ শুভসহ পত্রিকাটির রিপোর্টাররা উপস্থিত ছিলেন।
মিজান মালিকের জন্ম ১৯৭৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি চাঁদপুর জেলায়। পড়ালেখা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। সাংবাদিকতা শুরু করেন দৈনিক ভোরের কাগজের মাধ্যমে। এর পর বাংলাবাজার পত্রিকা, মুক্তকণ্ঠ, মানবজমিনসহ কয়েকটি পত্রিকায় কাজ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই ছোটগল্প, কবিতা ও গান লেখেন। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় তিনি একটি ধারা তৈরি করেছেন। শিল্প-সাহিত্য অঙ্গনে তিনি একজন গীতিকবি হিসেবে বেশ পরিচিত। গানের জন্য ২০০৬ সালে তিনি বাচসাস পুরস্কারও পান।
সাংবাদিকতায় রাষ্ট্রীয় পুরস্কারসহ রয়েছে অসংখ্য অর্জন। ২০১৫ সালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংবাদিকতায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের দেওয়া সর্বোচ্চ পুরস্কারটি মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে গ্রহণ করেন। একই বছর তিনি শিক্ষাবিষয়ক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় সেরা প্রতিবেদনের জন্য ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশ (টিআইবি) পুরস্কার পান। শ্রেষ্ঠ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য ২০১২ সালে দুদকের প্রথম মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। এ ছাড়া অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ও ক্র্যাব থেকেও একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। সাংবাদিকতা ও লেখালেখির পাশাপাশি তিনি একজন সফল সংগঠকও। তিনি বর্তমানে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সভাপতি। এ ছাড়াও রিপোর্টার অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (র্যাক) প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও পরে একাধিকবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি ল রিপোর্টার্স ফোরামেরও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।