প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২১, ১২:০৫
বাইক চালিয়ে সংসার চালাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী!
দীর্ঘদিন আদালত বন্ধ, হচ্ছে না মামলার শুনানী, থেমে আছে অসংখ্য মামলার রায় কর্মক্ষেত্রের এই দীর্ঘ বিরতি অসহায় করে তুলেছে বহু আইনজীবীকে। তাদের মতনই একজন ঢাকা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাসুদ রানা। আয়-ইনকাম না থাকায় পেটের ক্ষুধা মেটাতে রাস্তায় নেমেছেন মোটরবাইক নিয়ে। রাইড শেয়ারিং করে অর্থ উপার্জন করলেও নিজের গা থেকে খুলতে পারেননি আইনজীবীর সখের পোশাকটি। তা গায়ে মুড়িয়েই ছুটে চলছেন ঢাকার পথে প্রান্তরে।
হয়তোবা সকালেই আইনজীবীর পোশাক পড়ে সন্তানের হাসিমাখা মুখে স্নেহের হাত বুলিয়ে বলেছিলেন, সাবধানে থেকো বাবা কোর্টে যাচ্ছি। কিন্তু নির্মম করোনা দায়িত্বশীল বাবাকে সুপ্রিম কোর্ট থেকে করুণ বাস্তবতার কোর্টে এনে দাঁড় করিয়েছে। তাইতো আইনজীবী হয়েও তিনি এখন বাইক চালক।
মাসুদ রানা বলেন, এক বছর চার মাস হলো আদালত বন্ধ। তবে, সীমিত পরিসরে অতীব জরুরি ফৌজদারি বিষয় শুনতে কিছু আদালত চালু ছিল। আমি সুপ্রিম কোর্টে উকালতি করি। করোনায় কোর্টের বেঞ্চ খুবই কম। মামলা করতে পারি না। ইনকামও হয় না। তাই সংসার চালাতে রাস্তায় নেমেছি বাইক নিয়ে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হয়েও রাস্তায় বাইক চালাচ্ছেন এতে নিচের মধ্যে সংকোচবোধ হয় কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন লকডাউন স্থগিত হলেও কোর্ট বন্ধ। সকল পেশার মানুষ কাজ করতে পারছে, শুধু আইনজীবীরাই কর্মহীন। দীর্ঘ এক বছর চারমাস উপার্জনহীন থাকলেও বাড়িভাড়া, চেম্বার ভাড়া, বার কাউন্সিল, বার অ্যাসোসিয়েশনসহ জীবনযাপন ব্যয় থেমে নেই। কোর্ট অফিসারদের চরম দুর্দিন চলছে। অনেকেই আপদকালীন ভিন্ন পেশা গ্রহণ করলেও সংখ্যাগরিষ্ঠরা কোর্ট খোলার আশায় আছেন। কিন্তু আমি অতি সাধারণ, তাই এত কিছু না ভেবে কর্ম এবং উপার্জনের জন্য আপদকালীন এই বাইক রাইডিং পেশা শুরু করলাম।