প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪:০৯
কক্সবাজার বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে দুর্বৃত্তদের অতর্কিত হামলা: তদন্ত ও নিরাপত্তা জোরদার

কক্সবাজার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: কক্সবাজার বিমান বাহিনী ঘাঁটির সংলগ্ন সমিতি পাড়ার কিছু দুর্বৃত্ত আজ অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
|আরো খবর
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এ ঘটনার পরপরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং ঘাঁটির নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। তবে হামলার প্রকৃতি, ক্ষয়ক্ষতি বা সম্ভাব্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হামলাকারীরা সমিতি পাড়ার বাসিন্দা হতে পারে। তবে তাদের পরিচয় ও হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
কক্সবাজার বিমান বাহিনী ঘাঁটি দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা। এ ধরনের হামলা ঘাঁটির নিরাপত্তা ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিমান বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যৌথভাবে ঘটনার তদন্ত করছে এবং দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজার বিমান বাহিনী ঘাঁটি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হয়েছে। ২০১৯ সালে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত ঘাঁটি পরিদর্শন করেন এবং কক্সবাজার বিমান বন্দরের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া, ঘূর্ণিঝড় 'সিত্রাং' এর সময় বিমান বাহিনী ঘাঁটি স্থানীয় জনগণকে আশ্রয় সহায়তা প্রদান করে এবং পরবর্তী সময়ে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে।
এ ঘটনার পর বিমান বাহিনী ঘাঁটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনর্মূল্যায়ন করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে অতিরিক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। স্থানীয় জনগণকে সতর্ক থাকতে এবং সন্দেহজনক কার্যক্রম সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিস্তারিত তথ্য ও তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানার জন্য আইএসপিআর ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
ডিসিকে/এমজেডএইচ