প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৪, ২৩:৫৯
ফরিদগঞ্জে খাজে আহমেদ বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত
ভাইস চেয়ারম্যান আকবর হোসেন মনির ও মাজুদা বেগম
ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চিংড়ি প্রতীকের প্রার্থী খাজে আহমেদ মজুমদার বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। খাজে আহমেদ মজুমদার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির সাবেক সদস্য। তিনি পেয়েছেন ৬২ হাজার ৪৯৬ ভোট। নিককটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমির আজম রেজা ২০ হাজার ১৬৫ ভোট পেয়েছেন। দু’জনের ভোটের ব্যবধান ৪২ হাজার ৩৩১। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আকবর হোসেন মনির তালা প্রতীকে ৫৫ হাজার ৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু সুফিয়ান শাহীন চশমা প্রতীক পেয়েছেন ১৮ হাজার ৩৮৫ ও মোঃ কামরুজ্জামান সবুজ বই প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯ হাজার ২০৭ ভোট।
|আরো খবর
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলায় মোট ৩ লক্ষ ৭২ হাজার ৬৬৯ জন ভোটার রয়েছে। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৯৫ হাজার ১২২ জন ও নারী ভোটার ১ লক্ষ ৭৭ হাজার ৫৫৭ জন। ১১৮টি ভোট কেন্দ্রের ৮৭৪টি কক্ষে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ভোটের হার ২২.৩০ ভাগ।
৫ মে বুধবার রাতে ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের সম্মেলন কক্ষের ফলাফল সংগ্রহ ও তথ্য পরিবেশন কেন্দ্র থেকে কেন্দ্র ভিত্তিক ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ রায়হান আরেফীন।
এদিকে রাতে এ রিপোর্ট লেখা পযর্ন্ত ১১৭টি কেন্দ্রে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের ভোটের তথ্য পাওয়া যায়, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন মাজুদা বেগম (প্রতীক ক্যামেরা)। তিনি পেয়েছেন ৪৮ হাজার ১১৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রীনা নাসরিন (ফুটবল প্রতীক) পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪৯৬ ভোট ও হালিমা বেগম (পদ্মফুল প্রতীক) পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭০ ভোট।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ফরিদগঞ্জ উপজেলার মোট ১১৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্যে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য নিয়োজিত ছিলেন। যে কারণে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৪র্থ ধাপে ৫ জুন ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল।
উল্লেখ্য, এর আগে ৩য় ধাপে বুধবার ২৯ মে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে ভারি বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়ায় বৈদ্যুতিক লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার কারণ দেখিয়ে ২৮ মে মঙ্গলবার ফরিদগঞ্জ উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়।