প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২৩, ০১:১১
ফরিদগঞ্জে গোপন ভোটে পার পেলেন ইউপি চেয়ারম্যান
ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে অনাস্থা জানিয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেন বিক্ষুব্ধ ইউপি সদস্যরা। আদালতের নিদের্শনা অনুযায়ী বুধবার (১৯ জুলাই) বিকালে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ইউপি সদস্যরা গোপনে ভোট দেয়। কিন্তু ঘোষিত ফলাফলে চমক দেখিয়ে পার পেয়ে গেলেন ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন রিপন। ঘটনাটি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ১৪নং ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের।
|আরো খবর
জানা গেছে, হাইকোর্টের আদেশ প্রতিপালনে বুধবার (১৯ জুলাই) ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আজিজুন্নাহারের উপস্থিতিতে প্রথমে সমঝোতা চেষ্টা হয়। পরে উপস্থিত ইউপি সদস্যদের দাবীর প্রেক্ষিতে গোপন ভোটে অনাস্থার বিষয়টি নির্ধারিত হয়। ভোটে ৭-৫ ভোটে চেয়ারম্যান পরাজিত হলেও ইউনিয়ন পরিষদ আইন অনুযায়ী কমপক্ষে ৯জন সদস্য অনাস্থা জানাতে হবে। যদিও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ওই ইউপির ৯জন ইউপি সদস্য সরকারি বরাদ্দের টাকা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনাসহ হাইকোর্টে রিট করেন।
গত ২৯ মে মহামান্য হাইকোর্টে দায়েরকৃত রিট পিটিশন অনুযায়ী বিচারপতি মিসেস ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম এর আদালত এই আবেদন গ্রহণ পূর্বক ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে জবাব দেওয়ার জন্য এবং উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাকে ইউনিয়ন পরিষদ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার নিদের্শনা প্রদান করেন।
ইউপি সচিব মো.আমির হোসেন জানান, ভোটাভোটিতে অনান্থার পক্ষে ৭জন ও অনাস্থার বিপক্ষে ৫জন সদস্য ভোট প্রয়োগ করেন। ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা নীতিমালা অনুযায়ী অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার জন্য ৯ ভোটের প্রয়োজন। চেয়ারম্যানের বিপক্ষে পর্যাপ্ত ভোট না হওয়ার তিনি স্বপদে বহাল থাকবেন।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আজিজুনন্নাহার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান, উচ্চ আদালতের নিদের্শ অনুসারে বুধবার বিকালে আমরা চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের নিয়ে বসেছি। প্রথমে সমঝোতা এবং পরে ভোটের মাধ্যমে অনাস্থার বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়।