শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ
  •   চাঁদপুর সদরের শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের মান্দারি লোহাগড় গ্রামে দুটি পুকুরে বিষ দিয়ে ১৫ লাখ টাকার মাছ নিধন
  •   গৃহবধূ আসমার খুনিদের বিচারের দাবিতে ফরিদগঞ্জে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
  •   কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ
  •   হাজীগঞ্জের সন্তান অতিরিক্ত ডিআইজি জোবায়েদুর রহমানের ইন্তেকাল

প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৩, ২১:৫৭

চাঁদপুর লঞ্চঘাটের ১নং পন্টুনের বেহাল দশা, ঈদে বাড়বে দুর্ভোগ

মিজানুর রহমান
চাঁদপুর লঞ্চঘাটের ১নং পন্টুনের বেহাল দশা, ঈদে বাড়বে দুর্ভোগ

রাজধানী ঢাকাসহ বরিশাল, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও শরিয়তপুর ঈদগাঁ ফেরিঘাটের সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৫ জেলার নৌ-প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত চাঁদপুর লঞ্চঘাট।

জানা গেছে, ব্যবসায়িক কারণে এবং নদী, সড়ক ও রেল যোগাযোগের ত্রিমুখী যোগাযোগ থাকার সুবাধে চাঁদপুর লঞ্চঘাটটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যা চাঁদপুর নদীবন্দরে অবস্থিত। মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের শিকার হয়ে পুরনো লঞ্চঘাটটি বহু বছর আগেই বিলীন হয়ে গেছে। পরবর্তীকালে চাঁদপুর বড়স্টেশন মাদ্রাসা সড়কে বিকল্প চাঁদপুর লঞ্চঘাট স্থাপন করা হয়। বর্তমানে এখানেই স্থায়ীভাবে চাঁদপুর লঞ্চঘাটের কার্যক্রম চলছে।

বিদেশী অর্থায়নে এখানেই আধুনিক চাঁদপুর লঞ্চঘাট নির্মাণ হবে। তার আগে চাঁদপুর লঞ্চঘাটের একটি পন্টুন সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।

যাত্রী সাধারণের লঞ্চে উঠার জন্যে যে সিঁড়ি সংযুক্ত পন্টুনটি রয়েছে, সেটি সিঁড়ির সাথে ঘাট পন্টুনের সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। দীর্ঘদিন যাবৎ এ পন্টুনটি ব্যবহারে যাত্রীরা দুর্ভোগ ও দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। লঞ্চ ছেড়ে যাবার সময় যাত্রীরা দ্রæত লঞ্চে উঠতে গিয়ে উচু-নিঁচু সিঁড়ি ও পন্টুনে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন। লঞ্চঘাট পন্টুন ব্যবহারকারী হাজার হাজার যাত্রী বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।

লঞ্চের ঘাট সুপারভাইজার দ্বীন মোহাম্মদ জিল্লু বলেন, এমন দিন নেই যে, এ পন্টুন সিঁড়ি বেয়ে দুই একজন যাত্রী পড়ে না যায়। বিআইডবিøউটিএর সংশ্লিষ্ট বিভাগ পন্টুনটি পরিবর্তনের উদ্যোগ না নেয়ায় এবার ঈদে যাত্রী দুর্ভোগ আরো বাড়বে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লঞ্চঘাটের কাঠের সেতুর সাথে যুক্ত ঘাটের পন্টুন অনেক নিচুতে। এ অবস্থায় খাড়া সিঁড়ি বেয়ে যাত্রীরা পন্টুনে নামছে। আবার পন্টুনের উপর দুই পাশে দুটি টিনশেড ঘর রয়েছে। এতে লঞ্চ উঠার যাত্রীদের স্থান সংকুলান হচ্ছে না। ঢাকা সদর ঘাটে যে ধরনের পন্টুন থাকে এটি ব্যতিক্রম বলে লঞ্চ স্টাফরা বলছেন। এ সময় নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি সমস্যায় পড়ছেন। এছাড়া লেবারদের মালামাল বহন করে ওঠা-নামায়ও বেগ পেতে হচ্ছে।

চাঁদপুর-ঢাকা নৌরুটে লঞ্চঘাটে আসা নিয়মিত যাত্রী ওচমান গণি জানান, ঘাটের ১নং পন্টুনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যে পন্টুনটি এখানে বসানো হয়েছে যাত্রীদের জন্য মোটেও সুবিধাজনক নয়। ঘাটে লঞ্চ ভিড়লে পন্টুনে জায়গা থাকে না। যাত্রীদের দাঁড়াতে খুব কষ্ট হয়। আবার পন্টুনের সাথের সিঁড়িটাও উচু-নিচু।

ফরিদগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী যাত্রী রহমত আলী জানান, এ ঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করে। ঈদের তার সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ঘাট ও যাতায়াতের পথ ভালো না থাকায় বহু দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই দুর্ঘটনা ও যাত্রীদের জট এড়াতে দ্রæত নতুন পন্টুন স্থাপন করে লঞ্চঘাট যাতায়াত সেতুর সঙ্গে পন্টুনযুক্ত সিঁড়িটির সমতল করা দরকার।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়