শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

পদ্মা-মেঘনায় অবাধে পোনা নিধন : ক্ষতি হাজার হাজার কোটি টাকা

পদ্মা-মেঘনায় অবাধে পোনা নিধন : ক্ষতি হাজার হাজার কোটি টাকা
অনলাইন ডেস্ক

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে চলছে মাছের পোনা নিধনের মহোৎসব। প্রকাশ্যে ও রাতের আঁধারে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে এসব ধরছেন এক শ্রেণির অসাধু জেলে। শহরের রাস্তায় তা বিক্রি করছেন ভ্রাম্যমাণ মাছ বিক্রেতারা। এদিকে ভোক্তারাও তা কিনছেন অবাধে। মৎস্য গবেষকরা বলছেন, এখনই লাগাম টানতে না পারলে ভবিষ্যতে মাছশূন্য হবে নদীগুলো।

ভ্যানগাড়িতে বড় বড় বলে সাজানো রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা। দাম কম থাকায় কিনতে আসছেন ক্রেতারাও। চাঁদপুর শহরের প্রতিটি অলিগলিতেই চোখে পড়ছে এমন দৃশ্য। ক্রেতাদের ডেকে ডেকে বিক্রি করা হচ্ছে প্রতিদিনই।

সাধারণত নদীতে থাকা অধিকাংশ মাছই শীত মৌসুমের আগে ডিম ছাড়ে। তাই এই সময়টাতে ইলিশসহ বিভিন্ন মাছের পোনায় ভরপুর থাকে নদণ্ডনদী। সুযোগ বুঝে কিছু অসাধু জেলে নানা ধরনের নিষিদ্ধ জাল নিয়ে নেমে পড়েন নদীতে। শিকার করেন মাছের পোনা। বাদ যায় না কাঁকড়াসহ উপকারি বিভিন্ন জলজ প্রাণী। নির্বিচারে পোনা নিধন করায় বিপদে পড়েন সাধারণ জেলেরা। মাছের পোনা রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা গ্রহণের দাবি তাদের। এ বিষয়ে সাধারণ জেলেরা জানান, মাছের পোনাগুলো ধরে এরা আমাদের ক্ষতি করছে। এগুলো বড় হলে বড় বড় মাছে পরিণত হতো। তখন বিক্রি করলে ভালো দাম পাওয়া যেতো। এদের কারণে আমরা এখন মাছ পাই না। সামনে আরও পাব না।

চাঁদপুরের নদীতে কমছে মাছের উৎপাদন। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে নদীগুলো মাছশূন্য হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন মৎস্যজীবী নেতারা। এ বিষয়ে জেলা মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শবেবরাত বলেন, এই যে ছোট ছোট পাঙ্গাশ মাছের পোনা ধরে। ১ কেজি পাঙ্গাসের পোনায় ১০ হাজার কেজি বড় পাঙ্গাস হয়। এরপর ছোট ছোট চিংড়ির পোনা ধরে। এগুলো দেশের জন্য অনেক বড় ক্ষতি। হাজার হাজার কোটি টাকার মাছ নষ্ট হচ্ছে। পদ্মা মেঘনা নদী দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মৎস্যভাণ্ডার। পোনা নিধন অব্যাহত থাকলে বিলুপ্ত হতে পারে বিভিন্ন প্রজাতির মাছে। এ বিষয়ে ইলিশ গবেষক মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, যারা মাছের পোনা নিধন করছেন, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিলে এখনও ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব। সরকারের উচিত এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

পোনা নিধনকারী জেলেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সমন্বিত অভিযান চালানো হবে বলে জানালেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। তিনি বলেন, আমরা পোনা নিধনকারী জেলেদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি। এই অভিযান ২৪ ফেব্রুয়ারির পর্যন্ত চলবে। পাশাপাশি আমরা জনসাধারণকেও বিষয়টি নিয়ে সচেতন করার চেষ্টা করছি। যেসব জেলে ধরা পড়ছেন, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। পোনা শিকারের এই অপতৎপরতা চলে ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত। সূত্র : চ্যানেল ২৪।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়