প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:২৯
ইউপি সদস্য মসুর ভাতার কার্ড জালিয়াতি
বিধবা ভাতার কার্ড আটকে রেখে আদায় করলেন টাকা

ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন মসুর বিরুদ্ধে বিধবা ভাতার কার্ড আটকে রেখে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
|আরো খবর
ভুক্তভোগী বিধবা কোহিনুর বেগম জানান, প্রায় ১৭-১৮ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর দু সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি। সংসারে উপার্জনক্ষম কেউ না থাকায় অন্যের বাড়িতে কাজ করে কষ্টে দিন কাটান। বহু চেষ্টা করে একটি বিধবা ভাতার কার্ড পেলে সামান্য ভাতার টাকায় কিছুটা স্বস্তি আসে।
কোহিনুর বেগমের অভিযোগ, স্থানীয় ইউপি সদস্য মসু তার কার্ড আটকে দিয়ে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে সুদে টাকা তুলে ৪ হাজার টাকা দেওয়ার পর তিনি কার্ডটি ফেরত পান। ভুক্তভোগীর ভাষায়, “মসু মেম্বর আমার গলায় পাড়া দিয়া টাকা নিছে। আবার কয়, আমি যে ৪ হাজার টাকা দিছি এডা যেন কেউ না জানে।”
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন মসু বলেন, “মানুষ বিভিন্ন কাজে খুশি হয়ে দেয়, আর কি।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া বলেন, “কেউ এখনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেননি। তবে খোঁজখবর নেওয়া হবে, অনিয়ম প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়—ইউপি সদস্য মসুর বিরুদ্ধে এর আগেও নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
ক্যাপশন : অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন মসু।