শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:১৪

দু শিশুর চানাচুর খাওয়ার ঘটনা নিয়ে হামলা : আহত ৬

বিশেষ প্রতিনিধি
দু শিশুর চানাচুর খাওয়ার ঘটনা নিয়ে হামলা :  আহত ৬

কচুয়ায় পারিবারিক কলহের জের ধরে পৃথক পৃথক হামলায় অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে। কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের নোয়াদ্দা গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বুধবার নোয়াদ্দা মজুমদার বাড়ির আ. রাজ্জাকের ২ বছরের নাতনি ইশরাতের সাথে একই বাড়ির আক্তারের নাতি ২ বছরের আফির চানাচুর খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মাঝে বাকবিতণ্ডা থেকে সেটি মারামারিতে রূপ নেয়। এতে আ. রাজ্জাকের পুত্রবধূ প্রবাসী মাইন উদ্দিনের স্ত্রী আছিয়া বেগম আহত হয়ে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়।

এ ব্যাপারে আ. রাজ্জাকের মেয়ে জান্নাত বেগম বিল্লাল হোসেনের ছেলে আক্তার হোসেনসহ ৭ জনকে বিবাদী করে কচুয়া থানায় বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল ২০২৫) একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ওই এলাকার বাসিন্দা আ. ছালাম মানিক জানান, দু পক্ষের সম্মতিতে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্যে শনিবার আমার নেতৃত্বে সালিস বৈঠক হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সালিস বৈঠক হওয়ার আগেই নতুনভাবে দুপক্ষ বিবাদে জড়িয়ে পড়ে।

আ. রাজ্জাক জানান, শুক্রবার বিতারা গ্রামের আমার পুত্রবধূ আছিয়ার মা, ভাই , খালা নোয়াদ্দায় আমাদের বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় তাদের অটোরিক্সায় দেশীয় অস্ত্র চাপাতি, কিরিচ আছে বলে চালকসহ আক্তার হোসেন দলবল নিয়ে আটক করে । আমরা সাহায্যের জন্যে ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ আসে।

কচুয়া থানার এসআই মিন্টু সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে তাদেরকে উদ্ধার করে বিতারা এবং আহতদের কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেয়।ঘটনার পর থেকে দু পরিবারের মাঝে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

এ সময় দুপক্ষের হামলায় উভয় পরিবারের অন্তত ৯ জন আহত হয়। আ. রাজ্জাকের পক্ষের আহতরা হলেন : বোরহান, আছিয়া, আছিয়ার মা, ননদ খাদিজা, জান্নাত ও আক্তারের পক্ষের রাছেল, শিমলা, জেরিন ও সোমা বেগম। বর্তমানে দু পক্ষের বোরহান, জান্নাত, রাছেল, জেরিন ও শিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘটনার বিষয়ে আক্তার হোসেন জানান, শুক্রবার আমাদের ওপর হামলা করার জন্যে দেশীয় অস্ত্রসহ আছিয়ার বাবার বাড়ি বিতারা গ্রাম থেকে লোকজন নিয়ে আসে, আমরা তাদেরকে আটক করেছি। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ আসলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ বিষয়ে আমি সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।

আ. রাজ্জাক জানান, দুটি অবুঝ শিশুর চানাচুর খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার পুত্রবধূ ও আত্মীয় স্বজনদের আটকিয়ে মারধর করেছে। বিতারা গ্রামের আমার আত্মীয়দের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে। আমাদের বাড়িতে দাওয়াত খেতে আসছিলো। আমার বাড়িতে লোকজন কম থাকায় আক্তার হোসেন দলবল নিয়ে বিভিন্ন সময় আমাদের মারধর ও হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। আমি প্রশাসনের নিকট ঘটনার বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে কচুয়া থানার এসআই মিন্টু জানান, ৯৯৯-এ কল পাওয়ার ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেই। হামলার জন্যে আনা কোনো দেশীয় অস্ত্র আমরা পাইনি।

কচুয়া থানার ওসি মো. আজিজুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় দুই পরিবারের কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়